শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:৩৬, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
সাক্ষাৎকারে অ্যাডাম বোয়েলার বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, জিম্মিরা মুক্তি পেলেই যুদ্ধ তাৎক্ষণিকভাবে শেষ হবে। তিনি বলেন, যেদিন বন্দিরা মুক্তি পাবে, সেদিনই যুদ্ধ শেষ হবে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও, বোয়েলার বলেন, ‘দায়িত্ব এখন হামাসের কাঁধে। হামাসই এই যুদ্ধ শেষ করতে পারে। ট্রাম্প পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, সব বন্দি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছুই এগোবে না। প্রথম ধাপ-সব জিম্মি মুক্তি। দ্বিতীয় ধাপ-তারপর দেখা যাক ‘পরবর্তী দিন’ কেমন হবে।’
তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। কেবল ট্রাম্পের পূর্বের প্রস্তাবের দিকে ইঙ্গিত করেন, যাতে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে স্থানান্তরের কথা বলা হয়।
হামাস বলেছে, তারা তখনই আরও জিম্মি মুক্তি দেবে যদি একটি নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়, যেখানে কিছু শর্ত নিশ্চিত করতে হবে, যেমন ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ গাজা প্রত্যাহার-যা এখন পর্যন্ত অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে।
পূর্ববর্তী ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে, হামাস মোট ৩৩ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল। বিনিময়ে গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানো হয় এবং ইসরায়েলের হাতে বন্দি কিছু ফিলিস্তিনিকেও মুক্তি দেয়া হয়।
দ্বিতীয় ধাপের আওতায় সব অবশিষ্ট জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। এর বিনিময়ে যুদ্ধের স্থায়ী অবসান ঘটত। তৃতীয় ধাপে সব জিম্মির মরদেহ ফেরত দেওয়া এবং পুনর্গঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা ছিল।
কিন্তু প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পরই আলোচনা ভেঙে পড়ে এবং ইসরায়েল আবার হামলা শুরু করে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, নতুন করে কমপক্ষে ৫ লাখ ফিলিস্তিনি সর্বশেষ এই হামলার ফলে গৃহহীন হয়েছেন। নিহত হয়েছে অন্তত ১,৬৫২ জন ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, বর্তমানে গাজায় ২৪ জন জীবিত জিম্মি রয়েছেন। তারা সবাই পুরুষ সেনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া আরও ৩৫ জন জিম্মির মরদেহ এখনও গাজায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।