শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০:৫৫, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১০:৫৬, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে গাজায় ইসরায়েলের অভিযান চলমান রয়েছে। শুক্রবারের অভিযানের পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট ৫১ হাজার ৬৫ জন নিহত এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৫০৫ জন আহত হয়েছেন। নিহত ও আহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য ইসরায়েলি বাহিনী ওই দিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে একটানা অভিযানের পর আন্তর্জাতিক চাপ এবং মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর অনুরোধে গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।
তবে, দুই মাসের বিরতির পর গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলি বাহিনী পুনরায় গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। দ্বিতীয় দফার এই অভিযানে গত এক মাসেই দেড় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং বহু সংখ্যক আহত হয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের হাতে বন্দি ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত আছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে যে সামরিক অভিযানের মাধ্যমেই তাদের উদ্ধার করা হবে।
জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে)-তে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে। ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও যুদ্ধ বন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে।
তবে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়েছেন যে হামাসকে সম্পূর্ণরূপে দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য এবং তা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি