ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

৬ বৈশাখ ১৪৩২, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

জাপানি নারীকে শুক্রাণু পাঠালেন ইলন মাস্ক, নেপথ্যে যে কারণ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫:২৬, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৬:০৯, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

জাপানি নারীকে শুক্রাণু পাঠালেন ইলন মাস্ক, নেপথ্যে যে কারণ 

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে জন্মহার কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে নিজ সন্তানদের নিয়ে একটি বিশাল ‘সৈন্যবাহিনী’ গড়তে চান ইলন মাস্ক। এই লক্ষ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এর মাধ্যমে সম্ভাব্য মায়েদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তিনি। সন্তান জন্মের প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে অনেক নারীকে সারোগেসির প্রস্তাবও দিয়েছেন মাস্ক—এমন তথ্য উঠে এসেছে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত অন্তত চার নারী—সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাশলি সেন্ট ক্লেয়ার, গায়িকা গ্রাইমস, নিউরোলিঙ্ক নির্বাহী শিভন জিলিস এবং প্রাক্তন স্ত্রী জাস্টিন মাস্কের মাধ্যমে ১৪ সন্তানের জনক হয়েছেন ইলন মাস্ক। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জাপানের কিছু কর্মকর্তার অনুরোধে এক হাই-প্রোফাইল জাপানি নারীকেও নিজের শুক্রাণু পাঠিয়েছেন মাস্ক। 

২৬ বছর বয়সী অ্যাশলি সেন্ট ক্লেয়ার জানান, মাস্ক তাকে একাধিকবার বার্তা পাঠিয়ে ‘বিশাল পরিবার’ গঠনের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এক বার্তায় মাস্ক লিখেছিলেন, ‘এই পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার আগেই আমাদের একটি লিজিয়ন গড়তে হবে।’

উল্লেখ্য, লিজিয়ন বলতে প্রাচীন রোমান সামরিক ইউনিট বোঝায়, যেখানে সাধারণত ৩ থেকে ৬ হাজার সৈন্য থাকত।

অ্যাশলির দাবি, তাকে শুরুতে ১৫ মিলিয়ন ডলার এবং প্রতি মাসে এক লাখ ডলার সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তবে শর্ত ছিল মাস্কের নাম জন্মসনদে উল্লেখ করা যাবে না এবং তিনি পিতৃত্বের বিষয়টি প্রকাশ করতে পারবেন না। এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাস্কের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জ্যারেড বার্চাল, যিনি সন্তান জন্মের সময় হাসপাতালে উপস্থিতও ছিলেন।

অ্যাশলি শেষ পর্যন্ত গোপনীয়তা চুক্তিতে সই না করলেও জন্মসনদে মাস্কের নাম উল্লেখ করেননি। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি তাদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। এরপর তার মাসিক সহায়তা কমে গিয়ে প্রথমে ৪০ হাজার এবং পরে ২০ হাজার ডলারে দাঁড়ায় বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাস্ক বিভিন্ন নারীর সঙ্গে সন্তান নেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে যোগাযোগ করেছেন। এদের মধ্যে ছিলেন ক্রিপ্টো ইনফ্লুয়েন্সার টিফানি ফং। তিনি যখন বার্তাগুলো প্রকাশ্যে আনেন, তখন মাস্ক তাকে ‘এক্স’-এ আনফলো করেন।

অ্যাশলি ও অন্য কয়েকজন নারী অভিযোগ করেছেন, মাস্কের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা এই প্রক্রিয়ায় অর্থ ও কঠোর গোপনীয়তা চুক্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখেন। মাস্কের ব্যক্তিগত এসব উদ্যোগ তদারকি করেন জ্যারেড বার্চাল, যিনি এই প্রক্রিয়াকে ‘মেধাভিত্তিক’ এবং ‘সুবিধাভোগী’ ব্যবস্থাপনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।  

 

ঢাকা এক্সপ্রেস/এসএআর  

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন