শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০:২৬, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১০:৩০, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজায় অভিযান শুরু করার পর থেকে গতকালকের হামলা পর্যন্ত উপত্যকায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার জন। নিহত ও আহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
গতকালকের হামলায় নিহতদের অধিকাংশই গাজা সিটি ও উত্তর গাজার বাসিন্দা। তবে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী মধ্য, উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলেও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার কাছে শাবৌর ও তেল আসসুলতান এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই দুটি ঘাঁটি থেকেই সর্বশেষ হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ আবারও বলেছেন, ইসরায়েল তার যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে বদ্ধপরিকর। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হামাসকে পরাজিত করা এবং জিম্মিদের মুক্তি দেওয়াই ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর প্রধান লক্ষ্য এবং তারা চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে গতকাল শুক্রবার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র দিন গুড ফ্রাইডে হওয়া সত্ত্বেও গাজার স্থানীয় গির্জাগুলোতে সীমিত পরিসরে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। স্থানীয় একটি চার্চ থেকে হাব আয়াাদ নামের এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘গত বছরগুলোতে গুড ফ্রাইডের দিনে আমরা সবাই পরিবার-পরিজন নিয়ে গির্জায় আসতাম। সবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হতো। প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতাম। কিন্তু এবার সেই পরিস্থিতি নেই। আমি নিজে আমার কোনো বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাইনি। কারণ দখলদার (ইসরায়েলি) বাহিনীর হামলায় আমার অধিকাংশ বন্ধু, প্রতিবেশী ও আত্মীয়ের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। জিম্মিদের মুক্ত করতে ইসরায়েলি বাহিনী ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে। দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে অভিযান চালানোর পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।
তবে দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এই অভিযানে গত ১ মাসে গাজায় দেড় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি