শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:০৫, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৩২, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী। তিনি দ্রুত যুদ্ধবিরতি চান এবং অগ্রগতি না হলে শান্তি আলোচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে আসবে বলেও হুমকি দিয়েছেন। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেয় এবং পরবর্তীতে সেখানে রুশপন্থী একটি গণভোটের আয়োজন করে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কর্তৃক স্বীকৃত হয়নি।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দৃঢ়ভাবে বলেছেন, তিনি রাশিয়াকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বেন না। তিনি স্পষ্ট করে জানান, যুদ্ধবিরতির আগে কোনো অঞ্চলের মালিকানা বা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না। যুক্তরাষ্ট্র প্যারিসে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে এক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রস্তাব অনুযায়ী বর্তমানে রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চলগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে এবং ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না। প্যারিসে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল এই বিষয়ে আলোচনা করেছে এবং আগামী সপ্তাহে লন্ডনে আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে, রাশিয়া এখনো ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে হামলা অব্যাহত রেখেছে। সম্প্রতি সুমি শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এর বিপরীতে, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য যুদ্ধ পরবর্তীকালে ইউক্রেনকে রক্ষায় একটি যৌথ বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করছে, যা ইউক্রেনের সামরিক শক্তিকে আরও জোরদার করবে।
তবে কয়েকটি দেশ মনে করছে, যুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা উচিত হবে না। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে পাঁচটি এলাকা, যদিও তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। ক্রিমিয়া, জাপোরিঝঝিয়া, খেরসন, লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলকে তাদের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে রাশিয়া।
জেলেনস্কি উইটকফের এই বক্তব্যকে রাশিয়ার কৌশল হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি পুনরায় উল্লেখ করেন, ‘এই অঞ্চলগুলো আমাদের এবং যুদ্ধবিরতির আগে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি