শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০:০০, ২২ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১২:০৩, ২২ এপ্রিল ২০২৫
জানা গেছে, প্রস্তাবিত এই পরিকল্পনায় পাঁচ থেকে সাত বছরের জন্য একটি যুদ্ধবিরতির শর্ত রাখা হয়েছে। এর আওতায় ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি, যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য হামাসের শীর্ষ নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল শিগগিরই কায়রো সফরে যাবে। এতে নেতৃত্ব দেবেন হামাসের রাজনৈতিক পরিষদের প্রধান মোহাম্মদ দারবিশ এবং প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ ইসরাইল যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে পুনরায় গাজায় বিমান হামলা চালায়। এরপর থেকে ইসরাইল ও হামাস পরস্পরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য দোষারোপ করে আসছে। তবে কাতার-মিসরের এই নতুন প্রস্তাবের বিষয়ে এখনও ইসরাইলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এর কয়েকদিন আগে হামাস ইসরাইলের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। সেই প্রস্তাবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের শর্ত দেওয়া হয়েছিল, যা হামাস মানেনি।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল এবং সব ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত তারা যুদ্ধ বন্ধ করবেন না। এর জবাবে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে, এরপরই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া সম্ভব।
এছাড়া, বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা জানান, হামাস ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা গাজার শাসনভার এমন একটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে রাজি, যা জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে। সেটি হতে পারে পশ্চিম তীরভিত্তিক বর্তমান ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) অথবা নতুনভাবে গঠিত কোনো প্রশাসনিক কাঠামো।
অন্যদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, গাজার ভবিষ্যৎ শাসনে পিএ’র কোনো ভূমিকা থাকবে না।
যদিও এই আলোচনার ফলাফল এখনই নিশ্চিত নয়, তবে সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, হামাস এবার আলোচনায় ‘অভূতপূর্ব নমনীয়তা’ দেখাচ্ছে। মধ্যস্থতাকারীরাও বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি