শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:২০, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৬:৫১, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। বরং, নয়াদিল্লির পরপর সিদ্ধান্তগুলিকে 'উসকানিমূলক' বলছে ইসলামাবাদ। পরিস্থিতি ঘিরে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ফের উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
যে পাঁচ সিদ্ধান্ত নিলো ভারত-
প্রথম সিদ্ধান্ত হিসেবে ভারতের পক্ষ থেকে সিন্ধু নদ-চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা আসে। এই চুক্তির আওতায় পাকিস্তান সিন্ধু অববাহিকার নদীগুলো—বিশেষ করে ঝিলম, চেনাব, রবি, বিয়াস ও সাতলুজ থেকে পানি পেয়ে থাকে। ফলে এই সিদ্ধান্ত এসব অঞ্চলের কৃষিকাজ ও পানি সরবরাহের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
দ্বিপাক্ষিক চলাচলের অন্যতম প্রবেশদ্বার আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। যেসব পাকিস্তানি নাগরিক সম্প্রতি ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাদের ১ মে’র মধ্যে ফিরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। একইসঙ্গে, সার্কভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য দেওয়া ‘বিশেষ ভিসা সুবিধা’ পাকিস্তানীদের জন্য বাতিল করেছে দেশটি। নতুন ভিসা আপাতত দেওয়া হবে না।
নয়াদিল্লির পাকিস্তানি দূতাবাসে নিযুক্ত প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’, অর্থাৎ অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করেছে ভারত। তাদেরকে এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতে ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ইসলামাবাদে থাকা ভারতীয় সামরিক উপদেষ্টাদেরও দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের ইসলামাবাদ দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তটি ১ মে থেকে কার্যকর হবে।
ভারতের পদক্ষেপগুলোর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার একে ‘অনুপযুক্ত ও উসকানিমূলক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, বৈঠকে ভারতের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষামূলক জবাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এসএআর