শিরোনাম
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:০৮, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
হাতের নখ বড়ো হোক কিংবা ছোটো-নখ ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। নখের ময়েশ্চার বা আর্দ্রতা নখকে মজবুত ও নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। নখের আর্দ্রতা যদি বেশি হয়, তাহলে নখ নরম হয়ে ভেঙে যায়। আবার আর্দ্রতা কম হলে শক্ত হয়ে ভেঙে যায়। কোনও কারণে যদি নখের আর্দ্রতা বেশি অথবা কম হলে তা নখ ভাঙার কারণ হতে পারে। এ ছাড়া পুষ্টির অভাব, বিভিন্ন রোগসহ নানা কারণে নখ ভাঙতে পারে।
যেমন-
১. পেশাগত কিংবা অভ্যাসগত কারণে অনেকের বারবার হাত ধুতে হয়। ধোয়ার সময়ে বারবার সাবান, ডিটারজেন্ট কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করে করলে নখের আদ্রতা কমে যায়, ফলে নখ ভেঙে যায়।
২. শীতকালে আর্দ্রতা কম থাকে। শীতকালের শুষ্ক পরিবেশে নখের আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে নখ ভেঙে যেতে পারে।
৩. গরম আবহাওয়া কিংবা অতিরিক্ত তাপমাত্রায় যাদের কাজ করতে হয় তাদেরও নখ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। রান্নাঘরে আর্দ্রতা কম থাকার কারণে যারা দীর্ঘ সময় কাজ করেন, তাদের নখ শক্ত হয়ে যায় ভঙ্গুর হয়ে যায়।
৪. নখে অতিমাত্রায় নেইলপলিশ ব্যবহার এবং তা নখ থেকে তোলার জন্য রিমুভার ব্যবহার করলে নখে আর্দ্রতা বাড়ে, ফলে নখ ভেঙে যেতে পারে।
৫. এ ছাড়া পুষ্টির ঘাটতির কারণে নখ ভেঙে যেতে পারে। জিঙ্ক, বায়োটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি কমপ্লেক্স, ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে নখ ভেঙে যেতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা যদি থাকে, থাইরয়েড হরমোন কম কিংবা বেশি দুটোর কারণেই নখের উপর প্রভাব পড়ে, নখ ভেঙে যায়।
নখ ভেঙে যাওয়া রোধে করণীয়
১. বারবার হাত ধোয়ার প্রয়োজন হলেম প্রতিবার হাত ভেজানোর পর হাতে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
২. ভাঙা নখের জন্য নেইল কন্ডিশনার পাওয়া যায়। ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শে কিংবা প্রসাধনী দোকান থেকে কিনে নখের কন্ডিশনার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই তা অ্যালকোহল মুক্ত হতে হবে।
৩. নখ মজবুত করার নেইল জেল, নেইল ক্রিম, নেইল হার্ডনার পাওয়া যায় ডার্মাটোলজিস্টদের কাছে। এসব এসব পণ্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. নখে নেইলপলিশ ব্যবহারের প্রবণতা কমাতে হবে।
৫. বিভিন্ন ভিটামিন যেমন- ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, জিঙ্ক, আয়রন, মিনারেলস, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শে বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে নখ মজবুত করার জন্য।