ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

২৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ঢামেকের বহির্বিভাগে চিকিৎসা বন্ধ
Scroll
এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে ডাক্তার পদবি নয়: হাইকোর্ট
Scroll
এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন
Scroll
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে জিম্মি হওয়া ৮০ জনকে উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা, নিহত হয়েছেন ১৩ জন
Scroll
দুর্বল রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক ও অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ, একীভূতকরণ কিংবা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়
Scroll
সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন বৈঠকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি ইউক্রেন
Scroll
গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তারকে ফ্যাসিবাদী আখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে শাহবাগে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

তৃষ্ণা বাড়ায় যে ৫ খাবার

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫:৫৯, ১২ মার্চ ২০২৫

তৃষ্ণা বাড়ায় যে ৫ খাবার

মানবদেহের প্রায় ৬০ শতাংশ পানি দ্বারা গঠিত। এই পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, পুষ্টি শোষণ, বর্জ্য নিষ্কাশন ও কোষের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। তবে কিছু খাবার আছে যা তৃষ্ণা বাড়িয়ে শরীরে পানির চাহিদা বাড়ায়। বিশেষ করে রোজার সময় সেহরিতে এগুলো এড়ানো উচিত। নিচে এমন ৫টি খাবার ও তাদের প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. লবণ ও চিনিযুক্ত খাবার

অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার যেমন চিপস, প্রক্রিয়াজাত মাংস, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বাড়ায়। সোডিয়াম কোষ থেকে পানি শোষণ করে কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করে, ফলে তৃষ্ণা বেড়ে যায়। একইভাবে, উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার যেমন কেক, ক্যান্ডি, সোডা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায়। গ্লুকোজ মেটাবলিজমের জন্য অতিরিক্ত পানি প্রয়োজন হয়, যা ডিহাইড্রেশন ও তৃষ্ণার কারণ হয়। 

২. ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় 

কফি, চা বা এনার্জি ড্রিংকসের ক্যাফেইন মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এটি কিডনিতে রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে সোডিয়াম ও পানি শোষণ কমায়, ফলে ঘন ঘন প্রস্রাবের মাধ্যমে পানি বেরিয়ে যায়। এতে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে তৃষ্ণা বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, ২৫০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন (প্রায় ৩ কাপ কফি) পান করলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে।

৩. মসলাদার ও তৈলাক্ত খাবার 

ঝাল মরিচের ক্যাপসাইসিন মুখের রিসেপ্টরকে উদ্দীপিত করে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়, যা ঠাণ্ডা রাখতে অতিরিক্ত পানি প্রয়োজন হয়। এছাড়া, তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার (পাকোড়া, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই) হজম করতে পিত্তরসের সাহায্য লাগে, যা লিভার থেকে নিঃসৃত হয়। এই প্রক্রিয়ায় শরীরের পানির চাহিদা বেড়ে যায়। পাশাপাশি, এ ধরনের খাবার পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে তৃষ্ণা সৃষ্টি করে।

৪. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার

প্রোটিন বিপাকের সময় ইউরিয়া ও নাইট্রোজেনযুক্ত বর্জ্য তৈরি হয়, যা কিডনি ফিল্টার করতে বেশি পানি ব্যবহার করে। উচ্চ প্রোটিন খাবার (গরুর মাংস, ডিম) খেলে শরীরে ইউরিয়ার মাত্রা বেড়ে যায়। গবেষণা অনুসারে, প্রতি ১ গ্রাম প্রোটিন বিপাক করতে ১ মিলিলিটার পানি অতিরিক্ত প্রয়োজন। ফলে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের পর তৃষ্ণা অনুভূত হয়।

৫. শুকনো ফল ও বাদাম

কিসমিস, খেজুর বা বাদামে প্রাকৃতিক চিনি ও ফাইবার বেশি থাকে, কিন্তু পানির পরিমাণ কম। ফাইবার হজম করতে অন্ত্রে পানি শোষিত হয়। এছাড়া, শুকনো ফলের চিনি রক্তে শর্করা বাড়িয়ে কিডনিকে অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করতে বাধ্য করে। ফলে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে তৃষ্ণা বেড়ে যায়।
 

আরও পড়ুন