শিরোনাম
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:৪৭, ১২ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ২১:১৯, ১২ মার্চ ২০২৫
ডায়াবেটিস রোগীদের শারীরিক অবস্থা প্রত্যেকের ক্ষেত্রে আলাদা। তাই রোজা রাখার আগে গ্লুকোমিটার দিয়ে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। ইনসুলিন ব্যবহারকারী বা নিয়মিত ওষুধ সেবনকারীদের অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
রোজার সময় ডায়াবেটিস রোগীদের কিছু শারীরিক ঝুঁকি থাকে। এর মধ্যে রয়েছে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়া), হাইপারগ্লাইসেমিয়া (গ্লুকোজ বেড়ে যাওয়া), ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস, পানিশূন্যতা এবং রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা। গবেষণায় দেখা যায়, রোজা রাখা ডায়াবেটিস রোগীদের ৫০-৬০% ওজন স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হন। তবে ২০-২৫% রোগীর ওজন অস্বাভাবিকভাবে কম বা বেশি হতে পারে।
ইফতার ও সাহরিতে অতিভোজন, মিষ্টি বা তেল-চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া উচিত। দৈনিক ক্যালোরির চাহিদা মেটাতে ভাত, রুটি, শাকসবজি, ফল, ডাল এবং মাছ-মাংস পরিমিত পরিমাণে খান। ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি ও তরল পান করুন।
শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। কঠোর ব্যায়াম বা শ্রম এড়িয়ে হালকা হাঁটাহাঁটি বা তারাবির নামাজকে ব্যায়ামের বিকল্প হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। সাহরি কখনো বাদ দেওয়া যাবে না। রোজার শক্তি ধরে রাখতে সাহরিতে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া আবশ্যক।
যেসব রোগীর ডায়াবেটিসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের রোজা রাখার আগে চিকিৎসকের অনুমোদন নেওয়া উচিত। কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।