ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

২৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ঢামেকের বহির্বিভাগে চিকিৎসা বন্ধ
Scroll
এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে ডাক্তার পদবি নয়: হাইকোর্ট
Scroll
এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন
Scroll
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে জিম্মি হওয়া ৮০ জনকে উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা, নিহত হয়েছেন ১৩ জন
Scroll
দুর্বল রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক ও অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ, একীভূতকরণ কিংবা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়
Scroll
সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন বৈঠকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি ইউক্রেন
Scroll
গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তারকে ফ্যাসিবাদী আখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে শাহবাগে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭:৪৭, ১২ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ২১:১৯, ১২ মার্চ ২০২৫

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয়

রমজান মাসে অধিকাংশ ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখা নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন। খাদ্যাভ্যাস ও সময়সূচির পরিবর্তন এই দ্বিধার মূল কারণ। তবে সঠিক নিয়ম মেনে চললে অনেক ডায়াবেটিস রোগীই নিরাপদে রোজা রাখতে পারেন। এজন্য খাবার নিয়ন্ত্রণ, সময় ব্যবস্থাপনা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ডায়াবেটিস রোগীদের শারীরিক অবস্থা প্রত্যেকের ক্ষেত্রে আলাদা। তাই রোজা রাখার আগে গ্লুকোমিটার দিয়ে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। ইনসুলিন ব্যবহারকারী বা নিয়মিত ওষুধ সেবনকারীদের অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।

রোজার সময় ডায়াবেটিস রোগীদের কিছু শারীরিক ঝুঁকি থাকে। এর মধ্যে রয়েছে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়া), হাইপারগ্লাইসেমিয়া (গ্লুকোজ বেড়ে যাওয়া), ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস, পানিশূন্যতা এবং রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা। গবেষণায় দেখা যায়, রোজা রাখা ডায়াবেটিস রোগীদের ৫০-৬০% ওজন স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হন। তবে ২০-২৫% রোগীর ওজন অস্বাভাবিকভাবে কম বা বেশি হতে পারে।

ইফতার ও সাহরিতে অতিভোজন, মিষ্টি বা তেল-চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া উচিত। দৈনিক ক্যালোরির চাহিদা মেটাতে ভাত, রুটি, শাকসবজি, ফল, ডাল এবং মাছ-মাংস পরিমিত পরিমাণে খান। ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি ও তরল পান করুন।

শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। কঠোর ব্যায়াম বা শ্রম এড়িয়ে হালকা হাঁটাহাঁটি বা তারাবির নামাজকে ব্যায়ামের বিকল্প হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। সাহরি কখনো বাদ দেওয়া যাবে না। রোজার শক্তি ধরে রাখতে সাহরিতে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া আবশ্যক।

যেসব রোগীর ডায়াবেটিসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের রোজা রাখার আগে চিকিৎসকের অনুমোদন নেওয়া উচিত। কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।  

আরও পড়ুন