শিরোনাম
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:১৮, ১৩ মার্চ ২০২৫
রোজা শুধু আধ্যাত্মিক অনুশীলন নয়, বরং এটি শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরানোরও দারুণ সুযোগ। বিশেষ করে যারা সম্প্রতি মা হয়েছেন, তাঁদের জন্য এই সময়টি ওজন কমানোর একটি কার্যকর উপলক্ষ্য। তবে নতুন মায়েদের জন্য এই প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল হতে পারে। প্রসব-পরবর্তী শারীরিক অবস্থা এবং নবজাতকের স্তন্যপানের চাহিদার কারণে কঠোর ডায়েট মেনে চলা সম্ভব হয় না। তাই সঠিক পরিকল্পনা ও পুষ্টির ভারসাম্য রেখেই এগোতে হবে।
ইফতার: কী খাবেন, কীভাবে খাবেন
ইফতার শুরু করুন এক গ্লাস পানি দিয়ে। এরপর চিনি ছাড়া স্মুদি বা শরবত খেতে পারেন। খেজুর, বাদাম, কলা কিংবা দই-চিড়া মিশিয়ে বানানো খাবার হতে পারে চমৎকার বিকল্প। এগুলো সহজেই শক্তি জোগাবে এবং স্তন্যপান করানো মায়েদের জন্যও উপকারী। অল্প ঝাল-মসলায় রান্না করা হালিম খেতে পারেন, কারণ এতে থাকে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি। এছাড়া যারা সালাদ খেতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য মুরগি সেদ্ধ, শাকসবজি আর ডিম দিয়ে তৈরি প্রোটিন সালাদ হতে পারে ভালো বিকল্প। চাইলে চিকেন স্যুপও রাখতে পারেন তালিকায়। তবে যাই খান না কেন, ইফতারে অতিরিক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই হবে সবচেয়ে ভালো।
রাতের খাবার: হালকা রাখুন পেট
রোজার সময় অনেকেই ইফতারের পর রাতে আর খেতে চান না। তবে এটি ভুল অভ্যাস। বরং ইফতারের ২ ঘণ্টা পর হালকা খাবার খাওয়া ভালো।
ইফতারে যদি মাংস জাতীয় কিছু খেলে রাতের খাবারে তা এড়িয়ে চলুন। সবজি, ভাত ও ডাল হতে পারে উপযুক্ত বিকল্প। এছাড়া ঘুমের আগে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে তা বিপাকক্রিয়া বাড়াতে সহায়ক হয়।
সেহরি: পুষ্টিকর ও ভারসাম্যপূর্ণ খাবার
সেহরির শুরুতে এক গ্লাস মেথি ভেজানো পানি পান করুন। এটি হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা এবং বিপাকক্রিয়া সক্রিয় করতে সাহায্য করে। সেহরির মেনুতে ভাত বা রুটি, মাছ/মাংস, ডিম, ডাল, সবজি, দুধ/টক দই এবং কলা রাখুন। এই খাবারগুলো দীর্ঘক্ষণ শক্তি জোগায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি। ঠিকমতো ঘুম না হলে বিপাকক্রিয়া বিঘ্নিত হয়ে ওজন কমার পরিবর্তে বরং বেড়ে যেতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সঠিক জীবনযাত্রাও বজায় রাখতে হবে।