শিরোনাম
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ২০:২৩, ১৩ মার্চ ২০২৫
প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণের অন্যতম উৎস খেজুর। একজন সুস্থ ব্যক্তির দৈনিক আয়রনের প্রয়োজনীয়তার প্রায় ১১% পূরণ করতে সক্ষম এই ফল। ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়ামসহ নানা খনিজে সমৃদ্ধ এই খাদ্য উপাদান স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনন্য ভূমিকা রাখে। রমজান মাসে রোজা ভাঙার সময় খেজুর খাওয়ার রীতি বহুল প্রচলিত। তবে প্রতিটি প্রজাতির খেজুরের স্বাস্থ্যগত বৈশিষ্ট্য আলাদা।
ডেগলেট নূর
মাঝারি আকৃতির ও নরম গঠনের ডেগলেট নূর খেজুরে শর্করার পরিমাণ কম এবং আঁশের পরিমাণ বেশি। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী। মিষ্টতা কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীরাও পরিমিত পরিমাণে এই খেজুর খেতে পারেন।
বারহি
হলদে রঙের বারহি খেজুর ওজন কমানোর ডায়েটে উপযোগী। প্রতি ১০০ গ্রাম বারহিতে ২৮২ কিলোক্যালোরি শক্তি, ৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ০.৪ গ্রাম ফ্যাট থাকে। নিয়মিত সকালে এটি খেলে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমে এবং হজমশক্তি বাড়ে।
আজওয়া
কালচে রঙের আজওয়া খেজুরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হাদিসে বর্ণিত এই খেজুর হজমশক্তি উন্নত করে এবং শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখে।
সুক্কারি
সৌদি আরবের আল কাসিম অঞ্চলে চাষ হওয়া সুক্কারি খেজুর দাঁতের ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। এছাড়া এটি রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে ও শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে কার্যকরী।
মেডজুল
খেজুরের রানী হিসেবে পরিচিত মেডজুল আকারে বড় ও স্বাদে ভিন্নধর্মী। একটি মেডজুল খেজুরে দৈনিক ফাইবারের ২০% পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম ও আয়রনের উৎস এই খেজুর স্মুদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
খেজুরে থাকা ম্যাগনেসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন একটি খেজুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক থাকে এবং লিউটেনের প্রভাবে দৃষ্টিশক্তি সুরক্ষিত হয়। চিনির বিকল্প হিসেবে খেজুরের গুড় রক্তস্বল্পতা রোগীদের জন্য উপকারী, কারণ প্রতিটি খেজুরে দৈনিক আয়রনের চাহিদার উল্লেখযোগ্য অংশ পূরণ হয়।