শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:৩১, ৪ এপ্রিল ২০২৫
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই গত বছরের ১২ জুন বাচ্চুর বিরুদ্ধে ৫৮ মামলায় চার্জশিট দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২১ জুন তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। কিন্তু বিগত সরকারের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত বাচ্চু কখনোই ধরা পড়েননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। চার্জশিট দাখিলের আগে থেকেই দেশে ছিলেন তিনি। এখনও দেশেই আছেন বলে মনে করেন দুদক কর্মকর্তারা।
দুদকের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানায়, শেখ আবদুল হাই বাচ্চু দেশেই আছেন, এ বিষয়ে তারা নিশ্চিত। কারণ ইমিগ্রেশনের সবশেষ তথ্য নিয়ে দুদকের গোয়েন্দারা জেনেছেন, বাচ্চু সর্বশেষ দুবাই যান ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল। সেখান থেকে তিনি কানাডায় যান। কানাডা থেকে দেশে ফিরে আসেন ২০২৪ সালের ৮ জুন। ১২ জুন দুদকের দায়ের করা ৫৯ মামলার মধ্যে ৫৮টিতে তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হয়। এরপর বৈধ পথে তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কোনও তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিংবা সংস্থার কাছে নেই। তবে অবৈধ পথে তিনি দেশত্যাগ করেছেন কিনা সে তথ্যও নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে।
শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতিসহ ব্যাংকের প্রায় ২ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ এবং আত্মসাতে সহায়তার অপরাধে সর্বমোট ৫৯টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৫৮টিতে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি ছাড়াও শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে আরও চারটি মামলা রয়েছে দুদকের। তাদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ছাড়াও ২৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থের মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আছে।