শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:৩৮, ৫ এপ্রিল ২০২৫
যার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্পের এমন শুল্কনীতি নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনা শুরু হয়েছে। অন্যন্য দেশের মত বাংলাদেশের পণ্যের ওপরও শুল্কের হার বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ ধার্য করা হয়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে চীন ও প্রতিবেশী কানাডা। চীন ৩৪ শতাংশ ও কানাডা ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে।
এর আগে ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনে থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ নিয়ে বৃহস্পতিবার ড. ইউনূস জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যু সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে।
এসময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যু সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। যেহেতু এটি আলোচনাযোগ্য, তাই আমরা আলোচনা করব এবং আমি নিশ্চিত যে, আমরা সর্বোত্তম সমাধানে পৌঁছাতে পারব।’ ব্যাংককে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অধ্যাপক ইউনূসের বরাত দিয়ে এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২ এপ্রিল) বাংলাদেশসহ ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। ন্যূনতম ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ট্যারিফের কবলে পড়ে এসব দেশ। এর মধ্যে ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৯ শতাংশ, চীনের ৩৪ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ৪৯ শতাংশ, ভিয়েতনামের ৪৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ৪৪ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ৩৬ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ার ২৫ শতাংশ, জাপানের ২৪ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ২৪ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।