শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:২৫, ১২ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ২০:২৯, ১২ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম
গত ২০ সেপ্টেম্বর নগরের পুরাতন চান্দগাঁও এলাকায় মাঠ দখল নিয়ে যুবদলের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সংগঠনটির কর্মী জুবায়ের উদ্দীন বাবু নিহত হন। ১১ অক্টোবর নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের সংঘাতে বিএনপিকর্মী মোহাম্মদ ইমন খুন হন। ২১ মার্চ নগরীর কুসুমবাগে ঈদ শুভেচ্ছা ব্যানার টাঙানো নিয়ে নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হালিম শাহ আলম ও নগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরীফুল ইসলাম তুহিনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিতে শাহ আলমের অনুসারী যুবদল কর্মী জিহাদুর রহমান জিহাদ নিহত হন। ১৩ জানুয়ারি মিরসরাই স্টেডিয়ামে শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি ও যুবদলের সংঘর্ষে মো. মুন্না নিহত হন।
মিরসরাই উপজেলা কমিটি ঘোষণার পর বারইয়ারহাট পৌর এলাকায় ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির দুই নেতার অনুসারীদের সংঘর্ষের সময় জাবেদ হোসেন নামে এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নে ১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে খুন হন দলীয় কর্মী মো. শহীদ।
গত ২ জানুয়ারি সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা মীর আরমানকে কুপিয়ে খুন করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি রোকন উদ্দিনের অনুসারীরা হত্যা করেছে আরমানকে। ইট ও বালুর ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে ৯ ফেব্রুয়ারি জঙ্গল ছলিমপুরে মোহাম্মদ মাসুদ নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলার বাড়বকুণ্ডে সাগরে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় খুন হন বিএনপি কর্মী রাম দাস। হত্যায় জড়িত অভিযোগে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সন্দ্বীপে গাছুয়া ইউনিয়নে বাড়ি থেকে তুলে বিএনপি কার্যালয়ে পিটিয়ে দলটির কর্মী আইয়ুব জাহাঙ্গীরকে খুন করা হয়। ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শাহাবুদ্দিন সুমনের নেতৃত্বে তাঁকে হত্যা করা হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
১৫ মার্চ রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের আমিরহাট বাজারে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় যুবদল নেতা করম উদ্দিন জিতুকে। বিএনপির কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বাঙ্গড্ডা পশ্চিম বাজারে ১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সাবেক এমপি আব্দুল গফুর ভূঁইয়া ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হন হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়া।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শামীম গাজী ও বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফারুক কবিরাজের মধ্যে আধিপত্য, মাছঘাট, মেঘনার চর ও কাঁচাবাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ৭ এপ্রিল খাসেরহাট বাজারে সংঘর্ষে নিহত হন সাইজ উদ্দিন দেওয়ান। তিনি বিএনপির কর্মী ছিলেন।
বগুড়া
বিএনপির ঘাঁটিখ্যাত এ জেলায় আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে তিন বিএনপি নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। ১০ সেপ্টেম্বর রাতে গোকুল এলাকায় মহাসড়কের পাশে ট্রাক বন্দোবস্তকারী সমিতির কার্যালয়ে হামলায় নিহত হন সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান। সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে ৭ ফেব্রুয়ারি যুবদল নেতা রাশেদুল ইসলাম রাশেদের ওপর হামলা হয়। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
রাজশাহী
১১ মার্চ তানোরের পাচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিলে সংঘর্ষে সাবেক সভাপতি আব্দুল মোমিনের ভাই গানিউল ইসলাম নিহত হন। গত ২৭ মার্চ তানোরের চান্দুরিয়া ইউনিয়নে বিএনপির ইফতার মাহফিলে বর্তমান সভাপতি আজাদ আলী ও সাবেক সভাপতি মফিজ উদ্দীন গ্রুপের সংঘর্ষে কৃষক দলের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক নেকছার আলী নিহত হয়েছেন। গত ৭ মার্চ রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জে মহিলা দলের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক লাভলী খাতুন ও সাবেক যুবদল নেতা মারুফ হোসেনের অনুসারীদের সংঘর্ষের সময় কোপানো হয় রিকশাচালক গোলাম হোসেনকে। পরে তিনি মারা যান।
খুলনা বিভাগে আট খুন
বাগেরহাটের কচুয়ায় ধোপাখালী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি দেপাড়া বাজার এলাকায় সংঘর্ষে আহত শওকত হোসেন ৯ দিন পর মারা যান। গত ৯ নভেম্বর যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় যুবদল কর্মী পিয়াল হাসান খুন হন। চুয়াডাঙ্গা সদরে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক ৮ মার্চ খুন হন টিসিবির পণ্য নিয়ে দলটির দুই পক্ষে সংঘর্ষে। ২৩ অক্টোবর জেলার দামুড়হুদার বোয়ালমারী গ্রামে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে আহত হন ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সুলতান হোসেন। ১ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন ও বিএনপি কর্মী দবির উদ্দিনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হাকিমপুর গ্রামে ১১ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষে নিহত হন দলীয় কর্মী মোশাররফ হোসেন। গত ১৯ ডিসেম্বর সদর উপজেলার বেরইল পালতা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত সাবেক এবং বর্তমান ইউপি সদস্যের সংঘর্ষে শরিফুল ইসলাম নিহত হন। ৩০ আগস্ট সদর উপজেলার ডেফুলিয়া বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে খুন হন স্থানীয় কৃষক দলের প্রস্তাবিত কমিটির সহসভাপতি ওয়াজেদ আলী।
গত শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জেলা যুবদলের সদস্য মুন্সী মিরান মাল্লিকের। মসজিদের টাকার হিসাব চাওয়ায় গত ৩০ মার্চ তাঁর ওপর হামলা করে মাগুরা ওয়ার্ড বিএনপির নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য জামিরুল ইসলামসহ কয়েকজন।
কিশোরগঞ্জ
তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সম্মেলন নিয়ে বিরোধে ১২ জানুয়ারি রাউনি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান রতন খুন হন। কটিয়াদীতে ২২ মার্চ স্কুলের কমিটি নিয়ে বিরোধের সংঘর্ষে মুমুরদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আশিক খাঁ নিহত হন। রতন হত্যায় ছয় এবং আশিক হত্যায় দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।
ময়মনসিংহ
গফরগাঁওয়ে আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে যুবদলের দুই কর্মী নিহত হন। ৭ আগস্ট জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পৌর শহরের নতুনবাজার ম্যাক্সিস্ট্যান্ড দখল করতে যান তাঁর সমর্থকরা। সেখানে যুবদলের আরেক নেতা মো. সুমনের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সুমনের সমর্থকরা জসিম উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরদিন উপজেলার কাচারি রোড রেলক্রসিং এলাকায় সবুজ আকন্দ নামে যুবদলের আরেক কর্মীকে হত্যার করা হয়।
নড়াইল
লোহাগড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদ খান ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস শেখের মধ্যে বিরোধের জেরে ১১ সেপ্টেম্বর সংঘর্ষ হয়। লোহাগড়ার মল্লিকপুর ইউনিয়নের বিএনপিকর্মী মিরান শেখ ও জিয়া শেখ নিহত হন। তারা দুই ভাই।
ভোলা
লালমোহন বদরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ১৮ নভেম্বর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল্যাহ মেলকার এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল অনুসারীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান তিন দিন পর মারা যান।
গত ১১ মার্চ মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের নুরুদ্দিন বাজার এলাকায় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম ও যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত হন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ। এ ঘটনায় মামলা হলেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়নি বিএনপি।
শেরপুর
জেলা সদরে ১০ সেপ্টেম্বর বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন বিএনপি সমর্থক আশরাফুল আলম মিজান ও আরিফুল ইসলাম শ্রাবণ। সদর উপজেলার যুগ্ম আহ্বায়ক জাকারিয়া বাদলকে কামারিয়া ইউনিয়ন এলাকায় ২৫ ফেব্রুয়ারি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ
গত ১৮ মার্চ চনপাড়ায় পুনর্বাসন কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারে স্থানীয় যুবদল নেতা শামীম এবং স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রব্বানী গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হন যুবদল কর্মী হাসিবুর রহমান। এ ঘটনায় থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম মিয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর রাতে রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বায়েজীদ ও তাঁর সহযোগীদের মারধরে ছাত্রদল নেতা পাভেল মিয়া নিহত হন।
মানিকগঞ্জ
ঘিওর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৯ ডিসেম্বর বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে লাভলু আহমেদ নামে ছাত্রদলের সাবেক নেতা নিহত হন।
এ ছাড়াও সিলেট, সিরাজগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, ঝিনাইদহ, রংপুর, ফরিদপুর, ঢাকার ধামরাইয়ে একজন করে নিহত হয়েছেন।