শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৬, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১২:৩২, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৬টায় শুরু হওয়া এই আয়োজন চলে সকাল ৯টা পর্যন্ত। এদিন নতুন সূর্যের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সরগরম হয়ে ওঠে রবীন্দ্র সরোবর প্রাঙ্গণ। নববর্ষকে বরণ করতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা।
অনুষ্ঠানে সুরের ধারার শিল্পীদের পাশাপাশি গান ও নৃত্য পরিবেশন করছেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনায় রয়েছে বাংলা সংস্কৃতির বৈচিত্র্য ও বহুমাত্রিকতা।
অনুষ্ঠান শুরু হয় বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের যন্ত্র সংগীতায়োজনের মধ্য দিয়ে। পরে শিশুদের কন্ঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'আলো আমার আলো ওগো, আলো ভুবন ভরা' গানটি পরিবেশিত হয়। নান বয়সের শিল্পীদের কন্ঠে পরিবেশিত হয় কাজী নজরুলের ইসলামের রচিত গান ‘প্রভাত বীণা তব বাজে’। পরে পার্বত্য অঞ্চলের ভিন্ন জাতির শিল্পীরা তাদের আঞ্চলিক ভাষায় 'আমাদের দেশ হীরা-মানিক, সোনা, রুপায় ভরা' গানটি পরিবেশন করেন। এভাবে একের পর এক আয়োজন চলছে।
আগত দর্শনার্থীরা বলেন, বর্ষবরণের এই আয়োজন প্রতিবছরই তাদের কাছে বিশেষ কিছু। এটি কেবল একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি যেনো হয়ে উঠেছে বাঙালির আত্মার মিলনমেলা। তারা চান, প্রতি বছরই আরও বড় আঙ্গিকে বর্ষবরণের আয়োজন হোক, যেন নতুন বছর শুরু হয় সংস্কৃতি, সৌন্দর্য ও সম্প্রীতির ছোঁয়ায়।
এদিকে বর্ষবরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্র সরোবরের চারপাশজুড়ে বসেছে লোকজ মেলা। সেখানে ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প, হাতে তৈরি নকশাকৃত শাড়ি ও পাঞ্জাবি, মাটির তৈরি অলংকারসহ নানা ঐতিহ্যবাহী পণ্যের দোকান দেখা যায়। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ছিল শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার কঠোর নজরদারি।
চ্যানেল আই ও সুরের ধারার যৌথ আয়োজনে আয়োজিত এই বর্ষবরণ উৎসবে সহযোগিতা করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।