ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

মে মাস থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪:৪৩, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

মে মাস থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা

আগামী মে মাস থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে দেশের প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। খামার বন্ধ রেখে এই কর্মসূচি পালনের হুমকি দিয়েছে তাঁরা। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, যতক্ষণ না সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, ততক্ষণ আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।

সভাপতির সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রমজান ও ঈদ উপলক্ষে প্রান্তিক খামারিরা প্রতিদিন ২০ লাখ কেজি মুরগি উৎপাদন করেছে। প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা ধরে এক মাসে লোকসান হয়েছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা।

দৈনিক ৪ কোটি ডিম উৎপাদনের মধ্যে প্রান্তিক খামারিরা ৩ কোটি ডিম উৎপাদন করে। প্রতি ডিমে ২ টাকা করে লোকসানে, দুই মাসে ডিমে লোকসান হয়েছে ৩৬০ কোটি টাকা। মোট দুই মাসে ডিম ও মুরগির খাতে লোকসান দাঁড়িয়েছে ১২৬০ কোটি টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিদিন শত শত খামার বন্ধ হচ্ছে। একসময় এই খাত ছিল দেশের অন্যতম কর্মসংস্থানের উৎস, অথচ আজ তা ধ্বংসের পথে। সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নীরবতায় কিছু করপোরেট কোম্পানি পুরো পোলট্রি শিল্প দখলের ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তারা শুধু ফিড, বাচ্চা ও ওষুধ নয়-ডিম ও মুরগির বাজারও নিয়ন্ত্রণ করছে।

বিপিএ আরও জানায়, ঈদের আগে ২৮-৩০ টাকায় উৎপাদিত বাচ্চা করপোরেট কোম্পানিগুলো ৭০–৮০ টাকায় বিক্রি করে। এখন সেই বাচ্চাই ৩০–৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার উৎপাদন খরচ ১৬০-১৭০ টাকা, অথচ করপোরেটরা বাজারে বিক্রি করছে ১২০–১২৫ টাকায়। লোকসান গুনছে খামারিরা।

খামারিদের সংগঠনটি বলছে, ‘ডিমের উৎপাদন খরচ ১০-১০.৫০ টাকা, অথচ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮–৮.৫০ টাকায়। বাজার মূলত করপোরেটের হাতে; তারা দাম নির্ধারণ করে-খামারিদের বাধ্য করা হয় মানতে।’

আরও পড়ুন