ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

৬ বৈশাখ ১৪৩২, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

সারা ঢাকা ছিনতাই করে শাকিলরা, অবশেষে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪:৪৭, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৫:০৮, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

সারা ঢাকা ছিনতাই করে শাকিলরা, অবশেষে গ্রেপ্তার

রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় ইস্ট ওয়েস্ট স্কুলের পাশের গলিতে ভোররাতে চাপাতি ঠেকিয়ে এক তরুণীর কাছ থেকে সোনার চেইন ও ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ছিনতাইকারীর নাম ইমরান খান শাকিল ওরফে শাকিল। তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মিরপুর জোনের ডিসি মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান। পুলিশ বলছে, এই চক্রটি শুধু মিরপুর এলাকায় নয়, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই করতো।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মিরপুর মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিসি মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চাপাতির মুখে গলার চেইন ও ব্যাগসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে নিয়ে যায় একটি চক্র। ভিডিওটির সূত্র ধরে আমরা ভুক্তভোগীকে খুঁজে বের করি। তার কাছ থেকে একটা অভিযোগ নিয়ে আমরা মামলাটি রজু করি। গতকাল মামলাটি হওয়ার পর আমরা একটা টিম গঠন করে দেই। আজ ভোরে ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং মূল আসামি ইমরান খান শাকিল ওরফে শাকিলকে গ্রেফতার করি। তার কাছ থেকে তার সাথে থাকা অন্য দুজন কারা ছিল তাদের নামও আমরা পেয়েছি। তাদের যত দ্রুত গ্রেফতার করা যায় সে বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’

এ সময় শাকিলের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, চাপাতি এবং ছিনিয়ে নেওয়া ২ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। তাদের নামে একাধিক মাদক মামলাসহ বিভিন্ন ধরনের মামলা আছে বলেও জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা শুধু মিরপুর এলাকায় নয়, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই করে।

মিরপুর এলাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা জানিয়ে তিনি বলেন, এই এলাকায় একসময় চুরি-ছিনতাই-ডাকাতির প্রবণতা বেশি ছিল। ৫ আগস্ট একটা পরিবর্তিত অবস্থার পর এসে আমরা এখানে যোগদান করি। আমরা যোগদানের পর আমাদের একটা থিম ছিল এ ধরনের অপরাধ যেন না হতে পারে। পূর্বে যারা এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত করেছে তাদের একটা প্রোফাইল রেডি করি। সেই প্রোফাইলে অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন জায়গা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করি।

আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এটা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। আমরা চেষ্টা করছি পল্লবী এলাকায় মানুষ যেন আরও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে সেজন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মিরপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো নজরদারি কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন নামে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালাচ্ছি।

আরও পড়ুন