শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৪, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১১:০১, ২১ এপ্রিল ২০২৫
ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো শুরু করে। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং একজন নারী। সূত্র জানিয়েছে, অভিবাসন সংক্রান্ত মামলায় হেরে যাওয়ার পরও যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন এবং বিভিন্ন মামলায় যাদের সাজা হয়েছে, মূলত তাদেরকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ঢাকায় যাদের পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজনকে বিশেষ নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। বাকি বাংলাদেশিদের সাধারণ যাত্রীর মতো পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ, গত শনিবার দুপুরে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে পাঁচজন বাংলাদেশিকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ফ্লাইটটি একই ধরনের যাত্রী নিয়ে নেপাল হয়ে বাংলাদেশে আসে।
ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে নোয়াখালীর শাহাদত হোসেন জানান, গত ৯ মার্চ তাকে ফেরত পাঠানো হয়। বিমান খরচ যুক্তরাষ্ট্র সরকার বহন করেছে। তিনি বলেন, ‘তারা আমাকে এমিরেটস এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তুলে দিয়েছিল। কোনো অসম্মানজনক আচরণ করেনি। হাতকড়া পরানো বা বাজে কোনো ব্যবহার করেনি। আমি সাধারণ যাত্রীর মতো এসেছি।’
শাহাদত যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ অ্যাসাইলাম চেয়েছিলেন, যা মঞ্জুর না হওয়ায় তাকে ফেরত পাঠানো হয়। তিনি ৯ মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যান।
পুলিশের বিশেষ শাখার একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশি নাগরিকদের যাতে সম্মানের সাথে ফেরত পাঠানো হয়, এ ব্যাপারে সরকার শুরু থেকেই জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার সাথে বৈঠকেও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তোলা হয়। বাংলাদেশের অনুরোধ এবং বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের হাতকড়া পরিয়ে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার কারণে বাংলাদেশি কাউকে হাতকড়া পরানো হয়নি বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। অনেক দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে সামরিক বিমান ব্যবহার করা হয়েছে, তবে বাংলাদেশিদের সাধারণ ও চার্টার্ড বিমানে পাঠানো হয়েছে।
একাধিক সূত্র বলছে, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস আগেই বাংলাদেশ সরকারকে অবৈধ হয়ে পড়া লোকজনকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি অবহিত করেছে। এ নিয়ে সরকারকে কূটনৈতিক পত্র দেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিষয়টি দেখভাল করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময় একাধিক বৈঠক করে, যেখানে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্রসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, অবৈধ অভিবাসী হিসেবে যারা ফেরত এসেছেন, তাদের আইনি কোনো সহযোগিতার দরকার হলে সরকার তা করবে। এ জন্য বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাককে এই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি