ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

৮ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমানোর ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:২০, ২১ এপ্রিল ২০২৫

তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমানোর ঘোষণা

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ তিন ধাপে কমানোর প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে ফাইবার অ্যাট হোম তাদের বিভিন্ন সংযোগের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। এখন তিনি মোবাইল অপারেটরদেরও দাম কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ সোমবার (২১এপ্রিল) সকালে ফয়েজ আহমদ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই তথ্যগুলো প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, ফাইবার অ্যাট হোম আইটিসি পর্যায়ে ১০ শতাংশ, আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ এবং এনটিটিএন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ দাম কমিয়ে আনবে। 

এসময় ফয়েজ আহমদ উল্লেখ করেন, এর ফলে ইন্টারনেট লাইসেন্সিং পর্যায়ে মোট তিন থেকে চারটি স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানি ইতিমধ্যে তাদের সকল সেবায় ১০ শতাংশ দাম কমিয়েছে। এছাড়াও, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি সম্প্রতি জানিয়েছে যে, তারা গ্রাহক পর্যায়ে ৫০০ টাকায় এখন থেকে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট প্রদান করবে। অন্যদিকে, সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটক পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন থেকে ১০ শতাংশ মূল্য ছাড়ের ঘোষণা করেছে। 

এবার দেশের তিনটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের দাম কমানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ফয়েজ আহমদ। তিনি বলেন, সরকার ইতিমধ্যেই মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডব্লিউডিএম (নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের যন্ত্র) ও ডার্ক ফাইবার সুবিধা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোর কোনো উপযুক্ত কারণ বা অজুহাত আর অবশিষ্ট নেই। 
সরকার মোবাইল অপারেটরদের নীতিগত সহায়তা দিয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরে পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেটের দামও কমানো হয়েছে। এখন তাদের জাতীয় এই উদ্যোগে অংশীদার হওয়ার পালা।

মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর এই পদক্ষেপ চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কিছুটা হলেও কমাতে সহায়ক হবে বলে ফয়েজ আহমদ আশা প্রকাশ করেন। একই সাথে, তিনি দ্রুতই তিনটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটর যৌক্তিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর ঘোষণা দেবে বলে আশাবাদী।

এসময় ফয়েজ আহমদ আরও জানান, সরকার এখানে দুই ধরনের মূল্য ছাড় আশা করছে—প্রথমত, সরকারের পক্ষ থেকে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে অপারেটররা যে মূল্য বাড়িয়েছিল, তা কমিয়ে আনা হবে। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক গেটওয়ে/আইটিসি, আইআইজি ও ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে যতটুকু পাইকারি দাম কমানো হয়েছে, তার সমানুপাতিক হারে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমানো হবে।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গুণমান নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে এবং মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। এই অবস্থায় গ্রাহকদের স্বার্থে যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে সরকার বদ্ধপরিকর। 
 

ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন