শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:৫১, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ২০:০১, ২১ এপ্রিল ২০২৫
৬ এপ্রিল জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে নানা ‘অনিয়ম-দুর্নীতির’ অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছিলেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। সে সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের আশঙ্কা-এমনও হতে পারে, সাকিব দুদকের আসামিও হতে পারেন।’
দুদক চেয়ারম্যানের এমন মন্তব্যের পরই সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখেন-কোন অভিযোগে সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক? উত্তরে দুদক চেয়ারম্যান জানান, ‘এটা (সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ) এখনো অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে। তাই সব বলা যাচ্ছে না, অনুসন্ধান শেষে বোঝা যাবে কী হয়।’
এর আগে ২০১৮ সালে জাতীয় ক্রিকেট দলের তৎকালীন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দুদকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। দুদকের হটলাইন সেবা উদ্বোধনকালেও তাঁর সঙ্গে কাজ করে কমিশন। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠলে ২০২২ সালে সাকিবের সঙ্গে চুক্তি না রাখার কথা জানায় তৎকালীন ড. মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহর নেতৃত্বাধীন কমিশন।
গত বছরের ২৮ আগস্ট দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিলহানুর রহমান নাওমী। আবেদনে সাকিবের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, নিষিদ্ধ জুয়ার ব্যবসা ও জুয়ার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, স্বর্ণ চোরাচালানে সম্পৃক্ততা, প্রতারণার মাধ্যমে কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের অর্থ আত্মসাৎ, ক্রিকেট খেলায় দুর্নীতি ও নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
গত বছরের ৮ নভেম্বর সাকিব আল হাসানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার কথা জানায় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
ঢাকা এক্সপ্রেস /এমএইচ