ঢাকা, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

১০ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

কুয়েটের সব আবাসিক হল খুলছে আজ, অনড় অবস্থানে শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭:৩৯, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৮:০৮, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

কুয়েটের সব আবাসিক হল খুলছে আজ, অনড় অবস্থানে শিক্ষার্থীরা

কুয়েটের সব আবাসিক হল খুলছে আজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সব আবাসিক হল আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলেই খুলে দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ১০২তম (জরুরি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে, ২ মে হল খোলার ঘোষণা থাকলেও নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঞার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ মে আবাসিক হল খোলার কথা থাকলেও সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় তা পরিবর্তন করে আজ বিকেলে হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

অন্যদিকে, কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চলমান আমরণ অনশন থেকে সরে আসেননি শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় ৩২ জন শিক্ষার্থী অনশনে বসেন।

বুধবার সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার কুয়েট ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি তদন্ত কমিটির ওপর আস্থা রাখতে এবং অনশন থেকে সরে আসতে অনুরোধ জানালেও শিক্ষার্থীরা জানিয়ে দেন, উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন থেকে পিছু হটবেন না।

একই দিন দুপুরে কুয়েট শিক্ষক সমিতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, উপাচার্যকে চাপের মুখে সরানো হলে তারা সেটি মেনে নেবেন না। শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করেন, শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি, যা হতাশাজনক।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন এবং অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভূঁইয়াসহ অন্যান্যরা বলেন, উপাচার্য ও কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, যা অনভিপ্রেত এবং তার বিচার হওয়া উচিত।

এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

১৩ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা হল খোলার দাবিতে আন্দোলনে নামে এবং ১৫ এপ্রিল হলের তালা ভেঙে অবস্থান নেয়। আন্দোলনের মধ্যে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং ২ মে হল খোলার পূর্বঘোষণা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ভিসির পদত্যাগের একদফা দাবি সামনে এনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন জোরদার করে।

বর্তমানে, একদিকে প্রশাসন হল খুলে দিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ফিরতে চাইছে, অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা তাদের একমাত্র দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছে। 
 

ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি

আরও পড়ুন