শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:০৮, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল । ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলও কলকাতার কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক শায়ক ঘোষ চৌধুরীর স্ট্যাটাস নিজের ভেরিফাই ফেসবুক পেইজে শেয়ার করেন।
এতে তিনি লিখেন, “কাশ্মীরে পর্যটক হত্যার নিন্দা জানাই। তবে এর পেছনে কারা আছে তা জানা প্রয়োজন। নিচের লেখাটা পড়তে পারেন।“
মূল পোস্টে কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক শায়ক ঘোষ চৌধুরী লেখেন, “পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাত করা হবে কি হবে না, আমার কাছে immaterial ! আমি simply বিশ্বাস করি না, অমিত শাহ - অজিত দোভালদের সাহায্য ছাড়া কোনো অস্ত্র বা অস্ত্র চালানোর লোক কাশ্মীরে ঢুকতে পারে। তবুও অনেক জায়গা ছিল যেখান দিয়ে জঙ্গী ঢোকার সুযোগ ছিল। এখন technology -র উন্নতির পরে সেই সব জায়গা অতি সহজেই নজরদারি করা যায়। আর আমি কার্গিল যুদ্ধের পরে কাশ্মীরে গেছি। আমি কোনোদিন শুনি নি, "পর্যটকদের জঙ্গীরা হত্যা করে" আমাকে মিলিটারি কমান্ডার বুঝিয়েছিলেন, "জঙ্গীরাও পর্যটকদের আক্রমণ করে না। কাশ্মীর বেঁচে থাকে ট্যুরিজম এর উপরে। ওদের টার্গেট আমরা। " মানে কাশ্মীরের জঙ্গী আক্রমণের চরম পর্যায়তেও পর্যটকদের উপরে আক্রমণের ঘটনা দেখি নি। আর পাহেলগাঁও - গুলমার্গ - শোনমার্গ মিলিটারি cover -এ মুড়ে রাখা হত । "জঙ্গীরা কোন ধর্ম সেটা জিজ্ঞাসা করে হত্যা করছিলো", সেটাতেই বোঝা যায় যে প্ল্যানিং অনেক উপর থেকে এসেছে। যদি পাকিস্তান দায়ী থাকে (বালোচিস্তানের বদলা), তাহলে পাকিস্তান থেকে লোকদের ঢুকতে দিয়েছে যে মোদী সরকার, তাদের দায় নিতে হবে বই কি ! "নরেন্দ্র মোদী জঙ্গি হামলা বন্ধ করে দিয়েছেন" - এই দাবিটা তাহলে মিথ্যা ছিল।“
আসিফ নজরুলের এই স্ট্যাটাসকে ঘিরে নানান মন্তব্যই করছেন নেটিজেনরা।
এজাজুল হক নামের একজন লিখেছেন, "এটা পরিকল্পিত জঙ্গি নাটক হতে পারে। ভারতের মুসলমানদের উপর অমানুষিক নির্যাতন ও বর্বরতার ঘটনাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এটি একটি পরিকল্পিত হামলা হতে পারে। যারা এর সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আওতায় আনা হোক। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করার আহ্বান জানাচ্ছি।"
হাবিবুল ইসলাম লিখেছেন "এর পিছনে ভারতের র আছে কারণ ভারত নিজেরাই দাঙ্গা লাগায়, মুসলমানদের প্রতি নির্যাতন চালাচ্ছে মিডিয়াকে এদিক থেকে ঘুরিয়ে ওদিকে নিয়ে গেছে। এটা হচ্ছে ভারতের রাজনীতি, এখন বেশি বেশি নিউজ প্রচার হবে ওই দিক নিয়ে আর এদিকে মুসলমানদের প্রতি নির্যাতন বেশি বেশি চালাবে। সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা আমরাও জানাই।"
তবে কি আসিফ নজরুল বুঝাতে চেয়েছেন, যে কাশ্মীর মিলিটারির চাদরে ঢাকা থাকে, সেখানে জঙ্গী এলো কি করে? যেখানে মোদী বলেছেন জঙ্গী হামলা বন্ধ করে দিয়েছি সেখানে এত বড় জঙ্গী হামলা! এটি কি মোদীর কোন ষড়যন্ত্র?
সম্প্রতি বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ ও মুসলিমদের ওপর ভারতে হামলার ঘটনার পরপরই এমন জঙ্গী হামলা অন্য কোনো কিছু আড়াল করার জন্য নয়তো?
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ