ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

১০ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

উপাচার্য মাছুদের শেষ রক্ষা হলো না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৪১, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

উপাচার্য মাছুদের শেষ রক্ষা হলো না

কুয়েট উপাচার্য মোহাম্মদ মাছুদ । ছবি: সংগৃহীত

উপাচার্য মোহাম্মদ মাছুদের শেষ রক্ষা হলো না। সারাদেশে তীব্র ছাত্র আন্দোলনের মুখে অবশেষে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।

একই সঙ্গে উপউপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত মধ্য রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপউপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে।

এতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।

এর আগে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি আবাসিক হল। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

১৩ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা হল খোলার দাবিতে আন্দোলনে নামেন এবং ১৫ এপ্রিল হলের তালা ভেঙে অবস্থান নেন। আন্দোলনের মধ্যে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং ২ মে হল খোলার পূর্বঘোষণা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবি সামনে এনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন জোরদার করেন ।

 

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ 

আরও পড়ুন