শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:০২, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ২০:০৩, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সীমান্তের ওপারে স্বৈরাচার বসে আছে। সেখানে বসে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে। তাই আমাদের মাথার ওপর এখনো বিপদ আছে। স্বৈরাচার নতুন করে দেশকে আবারও অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঢাকার ঠাকুরগাঁও ছাত্র পরিষদের ছাত্র কনভেনশন-২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, পতিত স্বৈরাচারদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে হবে। যেটা অর্জন করেছি সেটা যেন বৃথা না যায়। কারণ, সীমান্তের ওপারে স্বৈরাচার বসে আছে। সেখানে বসে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিমুহূর্তে একেকটা ঘটনা ঘটিয়ে সেটাকে সারাবিশ্বে দেখাতে চায় বাংলাদেশ মৌলবাদীদের দেশ হয়ে গেছে। বাংলাদেশে নাকি সংখ্যালঘু ভাইদের নির্যাতন করা হচ্ছে। ভারতের পত্রপত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনভাবে লেখা হচ্ছে যেন বাংলাদেশে এসব নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটছে। ঘটনা তো তা না। তাহলে কারা করছে? কেন করছে?
তিনি বলেন, আমি কথাগুলো এ জন্য বলছি, আমাদের আনন্দে থাকার অবকাশ নেই। আমাদের মাথার ওপর এখনো বিপদ আছে। স্বৈরাচার নতুন করে দেশকে আবারও অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সেজন্য সজাগ থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। কোনোরকম হঠকারিতা, কোনো বিশৃঙ্খলা যেন কেউ করতে না পারে সেটাকে রুখে দিতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি খুব কষ্ট পাই যখন দেখি ছেলেরা কলেজে কলেজে মারামারি করছে। এটা তো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এটা একটা ষড়যন্ত্র।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে শিক্ষার্থীরা য অসাধারণ কাজ করেছে, দানবের থেকে দেশকে রক্ষা করেছে এটা ছোট কথা নয়। তবে আমরা এখনো কিন্তু সে ক্রান্তি পার হয়নি। ছাত্ররা যখন বুক পেতে দিয়েছি, রক্ত ঝরিয়েছি তখনই মুক্তি এসেছে। আমি বার বারই বলি আমাদের মুক্তির ভ্যানগার্ড হচ্ছে ছাত্ররা।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ আন্দোলনে সবার আগে ছাত্রদের নাম। তবে কতজন রিকশাচালক, শ্রমিক প্রাণ দিয়েছে তাদের খবর রাখি না। আমি পঙ্গু হাসপাতালে গিয়েছিলাম ছাত্রদের দেখতে। সেখানে গিয়ে দেখলাম প্রায় ৪০ শতাংশই শ্রমিক। তাদের খবর রাখাটাও আমাদের জন্য জরুরি।