শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:৫০, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী পাঠানো নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য রেখেছেন-তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌ্মত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ মন্তব্য করে অবিলম্বে এ ধরনের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে লন্ডন থেকে মোবাইল ফোনে গণমাধ্যমের কাছে দলের পক্ষ থেকে বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘সকালে কয়েকটি পত্রিকায় একটা সংবাদ দেখলাম যে ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যে উক্তি করেছেন বাংলাদেশ সম্পর্কে-সে বিষয়ে আমি বক্তব্য না রেখে পারছি না। তিনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যে উক্তি করেছেন বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের… এটা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি একটা হুমকিস্বরূপ। আমরা মনে করি, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নেতাদের (ভারতের) যে দৃষ্টিভঙ্গি-তা কিছুটা হলেও প্রকাশিত হয়েছে।’
‘আমি মনে করি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। এ ধরনের কোনও চিন্তাও তাদের মধ্যে থাকা উচিত হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে এবং সম্প্রতি একটা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ফিরে পেয়েছে… এ দেশের মানুষ যেকোনও মূল্যে এই ধরনের চক্রান্তকে রুখে দাঁড়াবে।’
প্রসঙ্গত, সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপও চেয়েছেন।
এনডিটিভি লিখেছে, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ-ইসকনের তিন জন পুরোহিত গ্রেপ্তার হওয়ার খবরের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এমন দাবি তুললেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুন্ণ হওয়া বা বিপণ্ন হওয়ার যে অলীক কাহিনি ভারতীয় মিডিয়ায় প্রচারিত ও প্রকাশিত হচ্ছে-তা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
‘আমরা বারবার বলেছি, এখানে ভারতের সাংবাদিকরা এসেছিলেন, তারাও দেখেছেন… পশ্চিম বাংলা ও ভারতের অনেক নামকরা সাংবাদিক এসেছিলেন, তারা দেখেছেন-বাংলাদেশে এ ধরনের কোনও পরিস্থিতি নেই। অথচ ভারতবর্ষের মিডিয়া ও তাদের নেতারা যেভাবে সম্পূর্ণ একটা মিথ্যাকে প্রচার করছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি দিচ্ছেন, তা কোনোমতেই বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, অতি সম্প্রতি ইসকনকে (বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) নিয়ে যে এখানে (বাংলাদেশে) নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয়েছে, তা দেশের মানুষ কখনোই গ্রহণ করবে না।’
‘এটা খুব পরিষ্কার যে ইসকনের সাম্প্রতিক ভূমিকা অত্যন্ত সন্দেহজনক, রহস্যজনক এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকিস্বরূপ।’