শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:২৪, ৬ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১২:৩১, ৭ মার্চ ২০২৫
নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত আ. লীগকে নিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
নির্বাচনের সময় ও আ. লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি যুক্তরাজ্য স্থানীয় সময় বুধবার (৬মার্চ) প্রকাশিত হয়।
আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তারাই (আওয়ামী লীগ) সিদ্ধান্ত নেবে, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না। আমি তো তাদের হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। নির্বাচনে কে অংশ নেবে, তা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে।’
সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, গত বছর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাকে নতুন সরকারের দায়িত্ব নিতে বলা হলে তিনি ‘চমকে’ গিয়েছিলেন। তিনি জানান, ‘আমার কোনো ধারণা ছিল না যে, আমি সরকারের নেতৃত্ব দেব। আগে কখনও সরকার যন্ত্র পরিচালনা করিনি এবং এরপরও পরিস্থিতি বুঝে ঠিকভাবে কাজ করতে হয়েছিল।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ তার সরকার ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করবে। তবে কত দ্রুত সংস্কার করতে পারে তার ওপর নির্বাচনের এই সময়সীমা নির্ভর করছে। কারণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এসব সংস্কারকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যা ঘটছে, তা অন্য সময়ের চেয়ে আলাদা বা ভিন্ন কিছু নয়। যদি আপনি গত বছরের একই সময়ের সাথে তুলনা করেন তবে এটি (আইনশৃঙ্খলা) ঠিক আছে।
এসময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আগের সরকারকে দায়ী করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বরেন ‘এই ধরনের ঘটনাগুলো হওয়া উচিত—তা আমি সমর্থন করছি না। আমি বলছি যে, আপনাকে বুঝতে হবে আমরা একটি আদর্শ দেশ বা একটি আদর্শ শহর নই যা হঠাৎ করে আমরা তৈরি করেছি। এই অবস্থা হচ্ছে দেশের ধারাবাহিকতা যা আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি, এমন একটি দেশ যেখানে এসব বহু, বহু বছর ধরে চলছে।’
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, "নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে আওয়ামী লীগের উপর নির্ভরশীল।" রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতিটি দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এদিকে, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে কী অবস্থান নেবে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা।