শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৪, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১০:৩২, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
এ নিয়ে কৌশল নির্ধারণে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে বিএনপি। শনিবার বিকেলে ১২ দলীয় জোট ও এলডিপির সঙ্গে বৈঠক করবে দলটি। পর্যায়ক্রমে অন্য দলগুলোর সঙ্গেও বৈঠক হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা সংস্কার কার্যক্রম এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেছেন। বৈঠকে নির্বাচনের রোডম্যাপ আদায়ে সরকারকে চাপে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়ার কথাও বলা হয়। তবে, দলের নেতারা সতর্ক করে বলেন, দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচি দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই, ক্ষতির কারণ হবে না - এমন কর্মসূচি নির্ধারণে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন তারা।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়ে আসছে। দলটির সমমনা দলগুলোও এই দাবির সঙ্গে একমত। সময় গড়ানোর সঙ্গে বিএনপির দাবি জোরালো হলেও সরকার এখনো পর্যন্ত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি। উপরন্তু, সরকার ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বক্তব্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে, নির্বাচন বিলম্বের আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে বিএনপিতে। দলটির নেতারা এ নিয়ে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্যে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে, তা পরিষ্কার করতেই এই সাক্ষাৎ করা হয়। সাক্ষাতে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাওয়া হয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ না করে ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ না দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা এই বক্তব্যে একেবারেই সন্তুষ্ট নই।’
এদিকে বিএনপির দাবি অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশ বিপর্যয়ের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন যদি না হয়, তাহলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি