শিরোনাম
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: ১০:১৮, ৩১ মার্চ ২০২৫
যেভাবে ঈদ হয়ে ওঠে মুসলিম জীবনের অম্লান প্রতীক
বছরে দুটি ঈদ—ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। উভয় ঈদ পালন করা ওয়াজিব। এ দিনে মুসলমানরা সব ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে নামাজ আদায় করে, আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করে। ঈদুল ফিতর রোজার সমাপ্তি, আর ঈদুল আজহা ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর।
মহানবী (সা.)-এর মক্কা জীবনে ঈদ বা রোজার বিধান ছিল না। ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় হিজরতের পর তিনি দেখেন, সেখানকার মানুষ নওরোজ (নববর্ষ) ও মেহেরজান (বসন্তোৎসব) পালন করে। কিন্তু এসব উৎসবে জাহেলি যুগের অশ্লীলতা, মদপান ও অস্থিরতা ছিল মুখ্য। ইসলাম গ্রহণকারী মদিনাবাসীরা এগুলো থেকে দূরে থাকলেও বৈধ আনন্দের জন্য প্রিয় নবীর দরবারে আবেদন জানান।
৬২৪ খ্রিস্টাব্দে রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পর আল্লাহ তাআলা নওরোজ-মেহেরজানের বদলে দুটি ঈদ প্রবর্তন করেন: ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। এভাবে জাহেলি সংস্কৃতির স্থলে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব ও ইবাদতভিত্তিক উৎসবের সূচনা হয়। ঈদুল ফিতরে রোজার পরিশুদ্ধি, আর ঈদুল আজহায় কুরবানির মাধ্যমে ত্যাগের দর্শন প্রতিষ্ঠিত হয়।
ঈদ শুধু জমায়েত বা খাওয়া-দাওয়া নয়; এখানে লুকিয়ে আছে সামাজিক সমতা, গরিবের অধিকার ও আল্লাহর সন্তুষ্টি। ঈদুল ফিতরে সদকা দিয়ে গরিবের মুখে হাসি ফোটানো, ঈদুল আজহায় পশু কুরবানি দিয়ে আত্মত্যাগের চেতনা জাগানো—এগুলো ইসলামের সার্বজনীন বার্তা। রাসুল (সা.) বলেছেন, "রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ: ঈদের দিনের আনন্দ ও আল্লাহর সাথে মিলনের আনন্দ।" এভাবেই ঈদ হয়ে ওঠে মুসলিম জীবনের অম্লান প্রতীক।