শিরোনাম
ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ: ১৭:০৮, ২ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ২০:৫৫, ২ জানুয়ারি ২০২৫
‘আপনি কীভাবে বিসিবি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তা আমাদের জানা আছে।’ অভিযোগ উঠেছে- বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে এমন কথা বলেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার প্রেস সচিব হিসেবে পরিচিত (সরকারি ওয়েবসাইট অনুযায়ী তাঁর পদ ক্রীড়া উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা) মাহফুজুল আলম। যদিও ফারুক আহমেদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাহফুজুল আলম। তাঁর বক্তব্য, ‘ওরকম কিছু হয়নি। বিষয়গুলোকে যদি কেউ ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে, তাহলে তা খুবই দুঃখজনক।’ তবে এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গত ৩০ ডিসেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কথোপকথনের একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন মাহফুজ। এসময় বিসিবি সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে মাহফুজ বলেন, ‘আপনি কীভাবে বিসিবি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তা আমাদের জানা আছে।’
ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচে কিছু বিশৃঙ্খলা এবং অব্যবস্থাপনা নিয়ে সেদিন (৩০ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট বক্সে ফারুক আহমেদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মাহফুজ। বিসিবি সভাপতি নিজেও এসব অব্যবস্থাপনা নিয়ে বিরক্ত ছিলেন। আলোচনার সময় তারা তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
ফারুক আহমেদের সঙ্গে অশোভন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘প্রেস সেক্রেটারির এমন আচরণ বিসিবি সভাপতির জন্য তো বিব্রতকরই, এতে ক্রীড়া উপদেষ্টার ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বক্সে সবাই প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আসেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ মানা যায় না।’
কথা–কাটাকাটি বেশি দূর গড়ানোর আগেই উপস্থিত অন্যরা তাঁদের শান্ত করেন। এ সময় সেখানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও ছিলেন বিপিএলের টাইটেল স্পনসর ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকতারা, ছিলেন বিসিবির লোকজনও।
তবে মাহফুজ দাবি করেছেন, তিনি বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কোনো অশোভন আচরণ করেননি।
প্রেস সচিব মাহফুজুল বলেন, ‘টিকিট নিয়ে বিশৃঙ্খলা, গ্যালারিতে আবু সাঈদ কর্নার ও দর্শকদের বিনা মূল্যে পানি পানের জন্য মুগ্ধ কর্নারের প্রস্তুতিতে দেরি এবং জুলাই–আগস্টের আন্দোলনে আহত ১০০ জনের সৌজন্য টিকিট পেতে দেরি হওয়া নিয়েই আমাদের মধ্যে কথা হচ্ছিল।’
বিসিবি সভাপতির সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে মাহফুজ বলেন, ‘উত্তপ্ত কিছু হয়নি। স্বাভাবিক কথাবার্তা হয়েছে। দুই পক্ষই আবেগপ্রবণ হয়ে কথা বলেছে। এমন কিছু হয়নি, যেটা অপ্রীতিকর।’
প্রেসিডেন্ট বক্সে দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনা মোবাইলে ভিডিও করেন মাহফুজের সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তি। বিসিবির লোকজন তা দেখে ফেলার পর তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে সেটি রিবুট করে আবার তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়। ভিডিও করা ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট বক্সে প্রবেশ করেছিলেন নির্ধারিত পাস ছাড়া। শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে বিসিবি তাঁকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।