শিরোনাম
ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ: ১৬:০৪, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৬:০৫, ৩ জানুয়ারি ২০২৫
সপ্তম ম্যাচে এসে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেল বিপিএলের একাদশ আসর। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে দিনের প্রথম ম্যাচে ৪৮ বলে সেঞ্চুরি হাঁকালেন চিটাগং কিংসের পাকিস্তানি ওপেনার উসমান খান। বিপিএলের ইতিহাসে এটি ৩৩তম সেঞ্চুরি। এই ইনিংস খেলার পথে অবশ্য দুইবার জীবন পেয়েছেন উসমান। সেটাকে কাজে লাগিয়েছেন দারুণভাবে।
শুক্রবার মিরপুরে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই পারভেজ ইমনকে (০) হারায় চিটাগং। সবাই যখন তাসকিনের আরেকটি ম্যাজিক্যাল বোলিং ফিগার দেখার অপেক্ষায় ছিল, তখনই শুরু হয় উসমান খান আর ইংল্যান্ডের গ্রাহাম ক্লার্কের তাণ্ডব। দুজনে মিলে গড়েন ১২০ রানের জুটি। ৫২ বলে একশ ছাড়িয়ে যায় চিটাগংয়ের স্কোর। ২১ বলে ফিফটি পূরণ করেন উসমান। এরপর হয়ে ওঠেন আরও বিধ্বংসী।
গ্রাহাম ক্লার্কও ঝড়ো ব্যাটিং করছিলেন। সোহাগ গাজীর বলে তার ইনিংস থামে ২৫ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৪০ রানে। কিন্তু উসমান থামেননি। ৪৮ বলে ১১ চার ৫ ছক্কায় তুলে নেন সেঞ্চুরি। মাঝে ৮২ রানে একবার জীবন পান। আবার ৯৫ রানেও ডিপ মিডউইকেটে তার ক্যাচ পড়ে।
তৃতীয় উইকেটে উসমান খানের সঙ্গে মোহাম্মদ ৩১ বলে ৬৩ রানের আরেকটি জুটি গড়েন চিটাগং অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন (২৮)। শেষ পর্যন্ত উসমান খানকে থামান তাসকিন। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৬২ বলে ১৩ চার ৬ ছক্কায় ১২৩ রানের ইনিংস। শেষদিকে হায়দার আলীর ৮ বলে ২৩ রানের ক্যামিওতে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৯ রান তোলে চিটাগং।
বিপিএল ইতিহাসে মিরপুর শের-ই-বাংলায় এটিই দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে মিরপুরে ২১৮ রানের রেকর্ড সংগ্রহ ছিল খুলনার। ২০২০ বিপিএলে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তৎকালীন নাম) বিপক্ষে এমন ইনিংস খেলেছিল তারা।
এ ছাড়া বিপিএলে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড রংপুরের। ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৩৯ রান তুলেছিল তারা। এ ছাড়া বাদবাকি বড় ইনিংসগুলোও সব চট্টগ্রামের মাঠেই হয়েছে।