শিরোনাম
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:০৭, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৭:২৮, ৩ জানুয়ারি ২০২৫
পাকিস্তানি ব্যাটার উসমান খান
বিপিএল দিয়ে হয়েছিল উত্থান, সেই বিপিএলে আরেকবার এসেই উসমান খান হাঁকালেন সেঞ্চুরি। শুক্রবার, ছুটির দিন। তার ওপর শীতের আমেজ। ঠিক যেমন ম্যাচ চান দর্শকরা, তারই দেখা মিলল হোম অব ক্রিকেটে। জয়ের খোঁজে এদিন মুখোমুখি হয়েছিল চিটাগং কিংস ও দুর্বার রাজশাহী। উসমান খানের সেঞ্চুরিতে ভর করে চিটাগং জড়ো করে ২১৯ রানের পাহাড়। আর সেই পাহাড় টপকাতে নেমে ১০৫ রান দূরে থামতে হয়েছে রাজশাহীকে।
মিরপুরে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। স্কোর বোর্ডে যখন মাত্র ১ রান তখনই আগের দিন ৭ উইকেট শিকার করে ইতিহাস গড়া তাসকিন আহমেদের বলে সাজঘরে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন গ্রাহাম ক্লার্ক। ২৫ বলে ৪০ রান করে ক্লার্ক সাজঘরে ফিরলেও উসমান পূর্ণ করেন পঞ্চাশের মাইলফলক।
এরপর উসমানকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ১৫ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে মিঠুন বিদায় নিলে শামীম হোসেন ২ ও হায়দার আলী ৮ বলে ১৯ রান করেন। আর অন্য প্রান্তে বোলারদের অসহায় বানিয়ে তোলা উসমান ৬২ বলে ১২৩ রান করে তবেই ক্ষান্ত হন। ১৯তম ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে পাকিস্তানি এই ব্যাটার ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকান।
তাসকিন ছাড়া রাজশাহীর সব বোলারই ছিলেন খরুচে। ৪ ওভারে ২ উইকেট শিকার করা তাসকিন এদিন বিলি করেন মাত্র ২২ রান।জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই সাব্বির হোসেনকে হারিয়ে ফেলে রাজশাহী। মোহাম্মদ হারিস ১৫ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তবে মিডল অর্ডারকে চেপে ধরেন চিটাগংয়ের বোলাররা। ম্যাচের মেজাজ অনুযায়ী দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারেননি কেউই।
ফর্মে থাকা ক্যাপ্টেন বিজয় এদিন ৮ রান করেন। তার ব্যাট না হাসায় দলও ছিল মলিন। ইয়াসির-আকবর-বার্লরাও সুবিধা করতে পারেননি। উসমানের ব্যাটিংয়ের পর শরিফুল-সানিদের বোলিং চিটাগংকে এনে দেয় আসরের প্রথম জয়। ১৭.১ ওভারে ১১৪ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। তিনটি করে উইকেট পান আরাফাত সানি ও আলিস ইসলাম।