ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

২৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ঢামেকের বহির্বিভাগে চিকিৎসা বন্ধ
Scroll
এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে ডাক্তার পদবি নয়: হাইকোর্ট
Scroll
এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন
Scroll
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে জিম্মি হওয়া ৮০ জনকে উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা, নিহত হয়েছেন ১৩ জন
Scroll
দুর্বল রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক ও অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ, একীভূতকরণ কিংবা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়
Scroll
সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন বৈঠকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি ইউক্রেন
Scroll
গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তারকে ফ্যাসিবাদী আখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে শাহবাগে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

একুশে পদক পাওয়া গর্বিত কোচ উজ্জ্বল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬:৫৯, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৮:০৯, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

একুশে পদক পাওয়া গর্বিত কোচ উজ্জ্বল

জাতীয় নারী ফুটবল দলের গোলকিপার কোচ মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বল

অনূর্ধ্ব-১৪ এশিয়া আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা ছিল দেশের নারী ফুটবলের টার্নিং পয়েন্ট। ২০১৪ সালের ওই সাফল্যের পর থেকে অনেক ‘প্রথমে’র জন্ম দিয়েছেন নারী ফুটবলাররা। নারী ফুটবলে আরও একটি প্রথম যুক্ত হলো—একুশে পদক পাওয়া প্রথম নারী ক্রীড়া দল ২০২৪ সালের সাফ জয়ীরা। নিকট অতীতে বয়সভিত্তিক ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়া এবং এশিয়া অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে নারী দল। সে ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। গত বছর সে সাফল্য ধরে রাখে নারী দল। যার স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক পেল দলটি। এই দলটির গর্বিত গোলকিপার কোচ মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বল। তাঁর হাতে গড়া রুপনা, মিলিরা বাংলাদেশের গোলপোস্টের অতন্দ্র প্রহরী।

নারী ফুটবল দলের সাফল্যে সম্মানিত হয়েছেন মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বলও। দলগতভাবে তিনিও পেয়েছেন একুশে পদক ও মেডেল। তবে সুযোগ পেয়েও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি এই কোচের। মন খারাপ করে সেই গল্পটা জানালেন, মাসুদ আহমেদ বলেন, ‘বাসায় আমার স্ত্রী ও বাচ্চা আছে। বাসায় এমন একটি দুর্ঘটনা ঘটে যায় যে, আমি এমন একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেনি। সারাজীবন হয়তো এই আফসোস থাকবে। তবু বলবো রাষ্ট্র আমাদের বা আমাকে যে সম্মাননা দিয়েছে, এই থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভবিষ্যতে নিজেকে আরও বেশি উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করবো।’

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাফজয়ী দলকে এ পদক প্রদান করেন। দলের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন এবং সহঅধিনায়ক মারিয়া মান্ডা। পুরস্কার প্রদানের সময় নারী দলের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। চারদিন পর নিজের পদক ও সম্মাননা পত্র হাতে পেয়েছেন উজ্জ্বল। বাফুফে থেকে এই সম্মাননা হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন এই কোচ। বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষিরা গর্বিত হয়ে সেই পোস্ট অনেকেই নিজদের টাইমলাইনে শেয়ার করছেন। উজ্জ্বল বলেন, ‘সত্যি বলতে এটা বেশ ভালো লাগছে আমার শুভাকাঙ্ক্ষিদের গর্ব করার কোনো কারণ হতে পেরেছি। রাষ্ট্রের এমন সম্মাননা সবার ভাগ্যে জোটে না। আমি এমন সম্মাননা পেয়েছি বেশ ভালো লাগছে।’

সোমবার রাতে যখন কথা হচ্ছিল, তখন ব্যাগ গোছাচ্ছিলেন দুবাই রওনা হওয়ার জন্য। রাত তিনটার ফ্লাইটে দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। আগামীকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) ও ২ মার্চ আরব আমিরাতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দু'টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। গোলকিপার কোচ হিসাবে উজ্জ্বলও সঙ্গে গিয়েছেন। এই দলের প্রায় সবাই নতুন। বৃটিশ কোচ বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে সাবিনা, কৃষ্ণারা অনুশীলনে যাননি। ফেডারেশনও কোচের পক্ষ অবস্থান নেয়ায় সাবিনাদের ছাড়াই দল আরব আমিরাত রওনা হয়েছে। আরব আমিরাতগামী দলের ২৩ জনের মধ্যে ৮ জন রয়েছেন সাফ চ্যাম্পিয়ন স্কোয়াডের। বাকি ১৫ জন মূলত অনুর্ধ্ব-২০ পর্যায়ের। এই দল নিয়ে শতভাগ আশাবাদি নন কোচ উজ্জ্বল। তবে বিশ্বাস রাখেন চমকে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে।

উজ্জ্বল বলেন, ‘একেবারে নতুন টিম। নতুন গোলকিপার। সবার বেশ ব্যস্ততার মধ্যে গিয়েছে দলটি তৈরি করতে। দলটি নিয়ে আমি অনেকবেশি আশাবাদি নই, তবে চমক দেখাতে পারে সেই বিশ্বাস আছে। কারণ এরা বয়সভিত্তিক দলগুলোতে খেলে এসেছে। জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার ঘাটতি চোখে পড়তে পারে। অন্যদিকে আমরা কোচিং করানোরও অতটা সময় পাইনি। তবে নিজেদের কৌশলে যে কেউ সেরা হয়ে উঠতে পারে সেই বিশ্বাস আছে দলটি নিয়ে। আশাকরি ভালো কিছুই হবে। অনেকের জন্য প্রমাণের সুযোগটাও তো আসলো।’

যারা বিদ্রোহ করেছিলেন। তারা কি ফিরছেন দলে? এমন আশ্বাস তো শোনা গিয়েছিল। মাসুদ আহমেদ বলেন, ‘হ্যা আমিও শুনেছি। নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ আপার সঙ্গে কথা হয়েছে। এই টুর্নামেন্টের পর পুরনো খেলোয়াররাও দলে আসবেন বলে কথা দিয়েছেন।’

আরব আমিরাত থেকে ফিরে ঈদের ছুটিতে যাওয়া হতে পারে ফুটবল দলের। এরপর ফের নতুন উদ্যামে বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের, এমনটাই জানিয়েছেন সদ্য একুশে পদক পাওয়া কোচ মাসুদ আহমেদ।  

আরও পড়ুন