শিরোনাম
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:০৩, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৫১, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
শুধু একজন ক্রিকেটার পরিচয়ে থাকলে দেশের মাটিতেই সুন্দরমতো অবসর নিতে পারতেন সাকিব। কিন্তু রাজনীতিতে যোগ দিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি। গত আগষ্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-গণঅভূত্থানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে নিজ দেশেই ফিরতে পারছেন না তিন সংস্করণে বিশ্বের সাবেক এক নম্বর অলরাউন্ডার।
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের একটি দৈনিক ইংরেজি পত্রিকাকে। দেশের হয়ে আবারো খেলার কথা জানিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি সংসদ সদস্য ছিলাম কিন্তু এখন তো আর নেই এবং কোনো দলে কোনো রাজনৈতিক পদও নেই। যে কাজটি গত ১৮ থেকে ২০ বছর ধরে করছি, সেটা থামিয়ে দেওয়াটা কি আপত্তিকর নয়? এখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলে ভালোভাবে ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই। যদি সুযোগ থাকে আমি এক সিরিজ, দুই সিরিজ নাকি আরও এক বছর খেলব, সেই পরিকল্পনা করতে চাই ‘
স্বপ্ন পূরণের জন্য যা যা করার প্রয়োজন তা করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন সাকিব। তিনি বলেছেন, ‘দেশের হয়ে খেলাই আমার সবচেয়ে বড় ইচ্ছা এবং সে জন্য নিজের সবকিছু দিয়ে দিতে রাজি। এটাই আমার স্বপ্ন এবং সেটা পূরণ করতে সবকিছুই করছি—ক্রীড়া উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা এবং বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথা বলছি।’ মাঝে দেশে ফিরতে বিসিবির কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন সাকিব। তার সেই চাওয়া পূরণ হয়নি।
বিসিবির প্রতি কোনো অভিযোগ আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে ৩৮ বছর বয়সী অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘কারো বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই, কোনো ক্ষোভও নেই। প্রত্যেকেরই নিজস্ব সীমাবদ্ধতা রয়েছে এবং বিষয়টা হচ্ছে আপনি জিনিসগুলিকে ইতিবাচকভাবে দেখতে চান নাকি সেগুলিকে জটিল করতে চান। গত ১৮ বছর নাকি শেষ ছয় মাসের উপর ভিত্তি করে আমাকে বিচার করবেন তা আপনাদের ইচ্ছা। একদিক থেকে দেখলে অন্যরকম মনে হবে, তবে নিরপেক্ষভাবে দেখলে সবকিছুই বোধগম্য হবে।’
দেশের হয়ে এখনো এক-দুই বছর খেলার সামর্থ আছে বলে জানিয়েছেন সাকিব। তিনি বলেছন, ‘ আমি মনে করি বাংলাদেশের হয়ে খেলার যোগ্য। বেশিরভাগ মানুষই চায় যে দেশের হয়ে খেলে অবসর নিই এবং আরও কিছুদিন চালিয়ে যাই। বিশ্বাস করি এখনো এক বা দুই বছর খেলতে পারব। যদি কিছু ঘটে থাকে সেটা সদিচ্ছা দিয়েই ঠিক করা যেতে পারে। আর সেই সদিচ্ছা আসতে হবে শীর্ষ পর্যায় থেকে।’