শিরোনাম
ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ: ১৬:২৭, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৬:২৮, ২০ এপ্রিল ২০২৫
ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ঘূর্ণি ধস নামিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। তাতে দেড়শর আগেই সাত উইকেট পড়েছে স্বাগতিকদের। চায়ের বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ১৫৪।
দুই ওপেনারকে হারিয়ে শুরুর ধাক্কার পর ইনিংসটা দিশা পেয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের ব্যাটিংয়ে। ৬৬ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। দ্বিতীয় সেশনে ৬৬ রানের এই জুটি ভাঙতেই ধস নামে ইনিংসে। শান্ত দলীয় ৯৮ রানে ফেরার পর ১৪ রানের ব্যবধানে পড়েছে ৩ উইকেট! অযথা শট খেলে বিদায় নেন মুশফিক, মুমিনুল ও মিরাজ। সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি স্বাগতিক দল।
ওভারের দ্বিতীয় বলে জাকের আলী, ষষ্ঠ বলে নাহিদ রানা—পাঁচ বলের মধ্যে বাংলাদেশের শেষ দুই উইকেট তুলে নিলেন মাধেভেরে। বাংলাদেশ দলের প্রথম ইনিংস থেমে গেল ১৯১ রানে।
টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার পর জাকের আলী লড়ছিলেন হাসান মাহমুদকে নিয়ে। তাঁদের ওই লড়াইটাও দীর্ঘ হলো না। হাসান মাহমুদ আউট হয়ে গেছেন ৩০ বলে ১৯ রান করে, ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। জাকের আলির সঙ্গে ৬৭ বলে ৪১ রানের জুটি ভেঙে গেছে তাতে। এরপর আউট হয়েছেন জাকেরও (৫৯ বলে ২৮)। মাধেভেরের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তিনি বেন কারানের হাতে।
২ উইকেটে ৯৮ রান করা বাংলাদেশ পরের ৫৬ রান করতে হারিয়েছে ৫ উইকেট। একে একে ফিরে গেছেন নাজমুল, মুমিনুল, মুশফিকুররা। মুশফিক, মুমিনুলের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানেরা উইকেট অনেকটা উপহার দিয়েছেন। দুজনেই মাসাকাদজার বলে ক্যাচ দিয়েছেন। নাজমুল আর মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হন মুজারাবানির শর্ট বলে। তাইজুলকেও ফিরেছেন মাসাকাদজা।
এই সেশনে খেলা হয়েছে ২৬ ওভারে। ৭০ রান তুলতে বাংলাদেশ উইকেট হারিয়েছে ৫টি। জিম্বাবুয়ের হয়ে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। এই বাঁহাতি স্পিনার ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ মেডেনে মাত্র ৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।