শিরোনাম
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮:২৮, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৩২, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
চতুর্থ দিনে একের পর এক নাটকীয়তায় মধ্য দিয়ে এগোতে থাকে ম্যাচ। ১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিল জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারেন। তাঁদের আক্রমনাত্মক ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
দলীয় ৯৫ রানে অবশেষে জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে পারে বাংলাদেশ। ২১তম ওভারের শেষ বলে মিরাজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কারেন (৪৪)। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে।
মিরাজের পর আঘাত হানেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ২৬তম ওভারের শেষ বলে মিডল স্টাম্প বরাবর একটি ডেলিভারি করেন তিনি। বলটি ঘুরবে ভেবে ব্যাট বাড়িয়ে দেন নিক ওয়েলচ, কিন্তু বল সোজা গিয়ে লাগে তার পায়ে। ১৯ বলে ১০ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয় এই টপ অর্ডার ব্যাটারকে।
এরপর ২ উইকেটে ১১৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের চা বিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে। বিরতির পর বল হাতে ফের জ্বলে ওঠেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩১তম ওভারের প্রথম বলেই তার ডেলিভারিতে উইলিয়ামস ক্যাচ দেন শান্তর হাতে। আউট হওয়ার আগে উইলিয়ামসের ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ৯ রান।
নিজের পরের ওভারেও সাফল্য পান মেহেদী হাসান মিরাজ। এবার তার শিকার হন আগ্রাসী শুরু করা ওপেনার ব্রায়ান বেনেট। বড় শট খেলতে গিয়ে লং অনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৮১ বলে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন বেনেট।
এরপর চাপের মুখে টিকতে পারেননি অভিজ্ঞ ব্যাটার ক্রেগ আরভিন। তাইজুল ইসলামের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দেন, উইকেটের পেছনে ক্যাচ ওঠে। শুরুতে আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নেন অধিনায়ক শান্ত। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ব্যাটে লাগার পর সরাসরি চলে গেছে উইকেটরক্ষক জাকের আলীর গ্লাভসে।
সাতে নেমে দ্রুত ফিরেছেন নায়াশা মায়াভো। নিজের খেলা তৃতীয় বলেই সিলিতে ক্যাচ দিয়েছিলেন। তবে সেটা হাতে জমাতে পারেননি বদলি ফিল্ডার জাকির হাসান। অবশ্য তার সেই ভুলের জন্য খুব বেশি মাশুল দিতে হয়নি। পরের ওভারেই মিরাজ এসে বোল্ড করেন মায়াভোকে। ৪ বল খেলে ১ রান করেছেন তিনি।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকেও দ্রুত ফেরান মিরাজ। তাতে দ্বিতীয় ইনিংসেও ফাইফার পেয়েছেন তিনি। দুই ইনিংসেই ফাইফারসহ ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন। একই সঙ্গে টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন এই অফ স্পিনার।
মাসাকাদজাকে সরাসরি বোল্ড করে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মিরাজ। তবে সেই সম্ভাবনায় পানি ঢেলে দেন এনগারাভা ও ওয়েসলি মাধেভারে। চাপের মুহূর্তে তাদের অবিচ্ছিন্ন ১৩ রানের জুটিতেই জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে জিম্বাবুয়ে।