শিরোনাম
বিচিত্র ডেস্ক
প্রকাশ: ২০:২৩, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ২২:৪৩, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
অ্যাথলেট দেও কাতো
বর্ণবাদ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে গিয়ে নিজেই বর্ণবাদের শিকার অ্যাথলেট দেও কাতো। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও সাদা চামড়ার কদর যেন বিশ্বব্যাপী। এই বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়েও যেন অভিনব পন্থায় নিজের স্বকীয়তাকে পুঁজি করে প্রতিবাদ জানালেন নিজ মেধা দিয়ে।
বর্ণবাদ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে কেপটাউন থেকে যাত্রা শুরু করেন দেও কাতো। ৫১৬ দিনের এই কর্মযজ্ঞে অবিচ্ছিন্নভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১২ হাজার ৪৪০ কিলোমিটার দৌড়ানোর পরে চলতি সপ্তাহে লন্ডনে পৌঁছান দৌড়বিদ। মাঝে কয়েক সপ্তাহ কারাগারেও থাকতে হয়েছে, ভুগতে হয়েছে গুরুতর অসুস্থতায়। ইউরোপে পৌঁছানোর পরে বারবার বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন তিনি।
দেও কাতো মানব অভিবাসনের ইতিহাস এবং অনেক কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের বৈষম্যের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরার জন্য এই মহাকাব্যিক দৌড়ের পরিকল্পনা করেন। তিনি জানিয়েছেন, ইউরোপের কিছু অংশে পুলিশ এবং পথচারীদের কাছ থেকে প্রতিদিন বর্ণবাদ কটুক্তি সহ্য করতে হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানায়, কাতো সেন্ট্রাল লন্ডনে পৌঁছে পশ্চিম লন্ডনের হ্যামারস্মিথে তার দৌড় শেষ করবে। ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে শত শত দৌড়বিদদের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।
কাতো জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসে কেনিয়ার ১,৮০০ মাইল উত্তরে একদল শিশু তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্কুলে যাওয়ার সময় ৫ মাইল পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। 'তারা আমার সাথে দৌড়াদৌড়ি চালিয়ে যেতে চেয়েছিল।'
তার প্রত্যাশা, তার এই যাত্রা আফ্রিকা থেকে মানুষের প্রথম দিকের অভিবাসনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। বিশেষ করে লোকেরা বলে, 'যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফিরে যাওয়া উচিত' - এমন বর্ণবাদী ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাবে। পথে পুলিশ দিনে অন্তত চারবার আমাকে আটকায়। মাঝে-মধ্যে দেখি, স্থানীয়রা আমার ছবি তুলে পুলিশে রিপোর্ট করছে।
দেও কাতো বহুভাষী, ইংরেজিসহ তিনটি ভাষায় দক্ষতা রয়েছে। শুরুতে ইংল্যান্ডে থাকলেও পারিবারিক সমস্যার কারণে বতসোয়ানায় ফিরে যান। মানসিক দৃঢ়তা দিয়ে কুসংস্কারকে নির্মূল করতে চান কাতো। এই অ্যাথলেট মনে করে ভবিষ্যতে আমরা জাতিগত বৈষম্যমুক্ত একটি বিশ্ব গড়ব।