শিরোনাম
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ: ২০:৫০, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকের নিষিদ্ধ হওয়ার পথে। আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে এর স্বত্ব বিক্রি করতে না পারলে দেশটির নিষেধাজ্ঞা আইনের আওতায় পড়ে এটি বন্ধ হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির ফেডারেল আপিল আদালত টিকটক কোম্পানিটির আপিল খারিজ করেছে । ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সাত মাস পরে এই সিদ্ধান্ত আসে। আইন অনুযায়ী, আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সামাজিক নেটওয়ার্কটি চীনা মালিকানা বাইটড্যান্স থেকে নিজেকে সরিয়ে না দিলে টিকটিককে নিষিদ্ধ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দাবী, মেটার মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম কিংবা অ্যালফাবেটের মালিকানাধীন ইউটিউবের মতো প্লাটফর্মে তাদের চ্যানেলের গ্রাহক হতে টিকটকের মার্কিন কনটেন্ট তৈরিকারকেরা অনুসারীদের অনুরোধ করছেন। বর্তমানে, এই অ্যাপটি ব্যবহার করে ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ দাবি করেছে, অ্যাপটির মালিকানা চীনের হওয়ায় ব্যবহার কারী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির সম্ভাবনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড রায়টিকে ‘টিকটককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করার চীনা সরকারের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাস এই আইনকে বলেছেন এটি ‘স্পষ্টভাবে বাণিজ্যিক লুণ্ঠন’। যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেন, ‘এই মামলাটি সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা করা উচিত যাতে দুই দেশের পারস্পরিক আস্থা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
স্বাধীনতা-পন্থী সংগঠন আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) এই রায়ের বিরোধিতা করেছেন। তাদের ভাষ্য, এটি ‘মিলিয়ন মিলিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রথম সংশোধনী অধিকারকে স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে, যারা নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে এবং বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এই অ্যাপটি ব্যবহার করে।
এই রায়টি যদি সুপ্রিম কোর্টে অপরিবর্তিত থাকে, তবে এটি টিকটকের ভবিষ্যৎকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের হাতে তুলে দেবে। তিনি ১৯ তারিখের সময়সীমা আরও ৯০ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন। তারপর টিকটকের ভাগ্য নির্ধারণ করবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
টিকটকের নতুন শপিং ফিচার ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলে ১০ কোটি ডলার আয় করেছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। ইমার্কেটার পূর্বাভাস দিয়েছে যে, আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের টিকটকের বিজ্ঞাপন আয় ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে, যা দেশের মোট ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ব্যয়ের ৪ দশমিক ৫ শতাংশের সমান হবে।
টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা মেটা, ইউটিউব এবং স্ন্যাপচ্যাটের জন্য লাভজনক হবে। তবে প্ল্যাটফর্মটির নির্ভরশীল কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ছোট ব্যবসাগুলোর জন্য ক্ষতিকর হবে।