শিরোনাম
প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:৪৬, ৬ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১১:৪৮, ৬ এপ্রিল ২০২৫
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইকে এক সময় কল্পবিজ্ঞানের বিষয় হিসেবেই ভাবা হতো। তবে সময়ের ব্যবধানে সেই ধারণার পরিবর্তন ঘটেছে। বিশ্বজুড়ে এআই এখন প্রযুক্তিগত অগ্রগতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
২০২২ সালের নভেম্বরে যখন ওপেনএআই তাদের চ্যাটজিপিটি উন্মুক্ত করে, তখন কেউই ধারণা করেনি যে এ প্রযুক্তি এত দ্রুত বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আর চমকপ্রদভাবে, এই প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় গ্রহণযোগ্যতা দেখা যাচ্ছে ভারতের মতো জনবহুল একটি দেশে।
ওপেনএআই-এর প্রধান অপারেটিং কর্মকর্তা ব্র্যাড লাইটক্যাপ জানিয়েছেন, ভারতের ব্যবহারকারীদের মধ্যে চ্যাটজিপিটির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুসারে, ভারত বর্তমানে তাদের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল বাজার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চ্যাটজিপিটিতে সম্প্রতি যুক্ত হওয়া ‘স্টুডিও জিবলি’ অনুকরণে অ্যানিমেটেড চিত্র তৈরির সুবিধাও ব্যবহারকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে ব্যবহারকারীরা প্রায় ১৩০ মিলিয়ন অ্যাক্টিভ ব্যবহারের মাধ্যমে ৭০০ মিলিয়নের বেশি ছবি তৈরি করেছেন, যা ওপেনএআই-এর ইতিহাসে এক বিশাল মাইলফলক।
প্রযুক্তি খাতে ভারতের অগ্রগতির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যানও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক বার্তায় তিনি প্রযুক্তি গ্রহণে ভারতের সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের তরুণ জনসংখ্যা ও প্রযুক্তিনির্ভর কর্মপরিবেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রসারে অনুকূল ভূমিকা রাখছে। শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা, কনটেন্ট নির্মাণ এবং গ্রাহকসেবাসহ বিভিন্ন খাতে চ্যাটজিপিটির ব্যবহার ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যদি এ প্রযুক্তিকে গভীরভাবে গ্রহণ ও ব্যবহার করে, তবে ভবিষ্যতে এআই জগতে ভারতের ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।