শিরোনাম
প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:০৯, ৬ এপ্রিল ২০২৫
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে বর্তমানে চ্যানেল খুলে ভিডিও তৈরি করে আপলোড ও মনিটাইজেশনের মাধ্যমে অনেকেই এখন টাকা আয় করছেন। কেউ কেউ নিজেকে করেছেন স্বাবলম্বী। এছাড়া এ মাধ্যমে নিয়মিত কাজ করে অনেকেই হয়ে উঠেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। তবে সাম্প্রতিক এ প্ল্যাটফর্মটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন সিনেমার ভুয়া ট্রেলার বানিয়ে প্রচারের প্রবণতা অনেক বেড়েছে। আর এতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন দর্শকরা। বিষয়টি নজরে আসায় এবার প্রতারণামূলক এসব কনটেন্টের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইউটিউব।
নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে ইতোমধ্যে কিছু চ্যানেলের আয়ের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইউটিউব জানিয়েছে, হ্যারি পটার বা মার্ভেল সিনেমার নতুন সিকুয়েল নামে যে ট্রেলারগুলো প্রচার করা হচ্ছে, সেগুলোর কোনো সত্যতা নেই। এসব ভুয়া কনটেন্ট দর্শকদের বিভ্রান্ত করছে। ইউটিউবের নীতিমালায় স্পষ্ট বলা আছে—প্রতারণামূলক বা বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট প্রচারের অনুমতি নেই।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনোদনবিষয়ক ওয়েবসাইট ডেডলাইন জানিয়েছে, ইউটিউবের নতুন পদক্ষেপের শিকার হয়েছে স্ক্রিন কালচার ও কেএইচ স্টুডিও নামের দুটি জনপ্রিয় চ্যানেল। পার্টনার প্রোগ্রাম থেকে বাদ পড়ায় এখন তারা আর বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ আয় করতে পারবে না। এই চ্যানেল দুটির সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা মিলিয়ে ২০ লাখের বেশি। তবে ইউটিউবের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
এক বিবৃতিতে কেএইচ স্টুডিওর প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে অনেক শ্রম আর সময় দিয়ে এটি চালিয়ে আসছি। আমার উদ্দেশ্য ছিল সৃজনশীল কিছু করা, ভুল তথ্য ছড়ানো নয়। তাই ইউটিউবের এই সিদ্ধান্ত আমার জন্য হতাশাজনক।’
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া